আওয়ামী লীগ
গুহার অন্তরালে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি নেতারা : তথ্যমন্ত্রী
এক দফার আন্দোলনে থাকা বিএনপি নাশকতা করে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচনে না এলে ভাঙনের মুখে পড়বে বিএনপি। দেশে বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অসৎ উদ্দেশ্যেই বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঁকি দিয়ে গুহার অন্তরালে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপির অবরোধ-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজের নেতৃত্বে নতুন একটি বিএনপি হচ্ছে। তারা শিগগির কনভেনশন করবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেকেই লাইন ধরে আছে তৃণমূলে যোগ দেয়ার জন্য। আর বিএনপির সাবেক মন্ত্রী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের নেতৃত্বে আর একটি দল হতে যাচ্ছে। তারা শিগগির ঢাকায় কনভেনশন করবে। সুতরাং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও নেতাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে পারবে না। তাই অনুরোধ জানাব, দল যদি টেকাতে চান তাহলে নৈরাজ্যের পথ পরিহার করুন, নির্বাচনে আসুন, আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।’
‘নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর’ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির অনেক নেতা এখন তারেক রহমানের দোষ দেয়, বলে তারেক রহমানের আমাদের দলটা ধ্বংস করে দিল এবং তারা বসে আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব যাই বলুন না কেন, নির্বাচনে আপনাদের দল অংশগ্রহণ না করলেও, আপনাদের নেতারা ইনশাআল্লাহ অংশগ্রহণ করবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অসৎ উদ্দেশ্যেই বিএনপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঁকি দিয়ে গুহার অন্তরালে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। মানুষ, অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা করাই তাদের কর্মসূচি। আমি জনগণ, গাড়িচালক ভাই এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই হরতাল-অবরোধের নামে কেউ যদি আক্রমণ করতে আসে আক্রমণকারীদের প্রতিহত করবেন, শায়েস্তা করবেন, ধরতে পারলে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গাড়িচালক ভাইদের অনুরোধ জানাবো, যারা আপনাদের গাড়িতে হামলা চালাচ্ছে তারা দুস্কৃতিকারী। পত্রপত্রিকা লেখে তারা দুস্কৃতিকারী, টেলিভিশনেও বলে দুস্কৃতিকারী। সুতরাং এই দুস্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনে গাড়িতে লাঠি এবং রড রাখবেন। যদি কাউকে ধরতে পারেন শায়েস্তা করে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন।’
হাছান বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের বলব, এই আগুনসন্ত্রাসীদের পেলে, হাতেনাতে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাই না। কিন্তু আইনে বলা আছে, কেউ আক্রান্ত হলে ওই তিনি আক্রমণকারীকে প্রতিরোধ করতে পারেন। এটা আইনেই বলা আছে, ধর্মেও আছে। সুতরাং কেউ যদি আক্রমণ করতে আসে আক্রমণকারীকে শায়েস্তা করবেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘অবরোধের নামে যারা এইভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে এবং গুহার মধ্যে ঢুকছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর। আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো পাড়ায়-মহল্লায় বিএনপি-জামায়াতের যে আগুনসন্ত্রাসীরা গর্তের মধ্যে ঢুকেছে তাদের গর্ত থেকে খুঁজে বের করুন, পুলিশে দেন, এদেরকে নির্মূল করতে হবে।’
‘অনেকেই দাবি করছে বিএনপি যেভাবে মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করছে, যেভাবে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিদের বাসভবনে, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, অনেক মহল থেকে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে চাই না, আমরা চাই, তারা এই পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করুক। আন্দোলনও করুক আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তাদের আন্দোলন করার জন্যই সমস্ত সহযোগিতা করা হয়েছিল কিন্তু তারা সেটি না করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশের ওপর, বিচারপতির বাসভবনে, হাসপাতালে হামলা করেছে সেই কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য দেন।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/