বাংলাদেশ
নৌকায় বেশি মানুষ নিলে নৌকা বিপদাপন্ন হয়
ক্ষমতায় আসার পর এখন সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। নৌকায় সবসময় বেশি মানুষ নিতে নেই। নৌকায় বেশি মানুষ নিলে নৌকা বিপদাপন্ন হয়। আওয়ামী লীগ একটি গণসংগঠন, কোনো বদ্ধ জলাশয় নয়। আমাদের দলে যে কেউ যোগ দিতে পারে, তবে যে কাউকে আমরা নিতে পারি না। বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ।
আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারাই আওয়ামী লীগকে যুগে যুগে টিকিয়ে রেখেছে। অনেক নেতা বিভিন্ন সময় ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীনদের সাথে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হননি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনও মূল নেতৃত্বকে ছেড়ে যাননি।
তিনি বলেন, যারা পিঠ বাঁচানোর জন্য, অর্থবিত্ত অর্জনের জন্য, অবৈধ সম্পদ রক্ষা করার জন্য আওয়ামী লীগে আসতে চায়, তাদের দরকার নেই। যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বাস করে তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগে আসতে পারে। কিন্তু যারা জায়গা দখল ও মাদক কারবারে যুক্ত, তাদের আমাদের দলে প্রয়োজন নেই।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ প্রমুখ।
সন্ধ্যার পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ বেতারের আয়োজনে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
এতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নারী উন্নয়ন ও নারী প্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে সেটা সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটা অনন্য উদাহারণ। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নারী ও শিশু উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। গত ১৩ বছরে নারীর যেভাবে ক্ষমতায়ন হয়েছে, মাতৃ মৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার যেভাবে কমেছে বাংলাদেশে, এটা সমস্ত উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটা উদাহারণ। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর হার এবং প্রসূতি মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম।
ড. হাছান বলেন, সমস্ত মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা ভারত পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়েছি। এটার অন্যতম প্রধান কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমাদের সরকার নারী ও শিশু উন্নয়নের ওপর অনেক গুরুত্বারোপ করেছে। বিধায় এটি সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- যুগ্ম সচিব মো. আনছার আলী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও ইফতেখার ইউনুস প্রমুখ।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ