আওয়ামী লীগ
চলছে অবরোধ, সতর্ক পাহারায় আছে আওয়ামী লীগ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথমদিনের কর্মসূচির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরে ২৪টি থানার ৭৫টি ওয়ার্ডে সর্তক অবস্থান নিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এক দফা দাবি আদায়ে এ দুই দলের তৃতীয় দফা সর্বাত্মক অবরোধের প্রথমদিন আজ বুধবার (৮ নভেম্বর)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির এ নির্দেশনা দেন। সে অনুযায়ী, বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন দলটির নেতারা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থান নিয়েছেন অনেকে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে আছি। মহানগরের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আছি আমরা। পাশাপাশি বিএনপি যে অবৈধ অবরোধ দিয়েছে কোনো ভাবে যেন গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করতে না পারে সে জন্য সব থানা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেয়া আছে।
জানা গেছে, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে সকাল ৭টা থেকে বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অবরোধের প্রতিবাদে পাহারা বসিয়েছে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। এতে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান ও অবরোধবিরোধী কর্মসূচি পালন করছেন ৬৭,৬৮,৬৯,৭০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ডে পাহারা বসিয়েছে ৬৪,৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কাউন্সিল মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল ও সোহেল খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর কর্মী সমর্থকরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নেতা জিয়াউদ্দিন জিয়া। পাশেই শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে অবরোধবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন গেসু ও কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু।
রাজধানীর জয়কালী মন্দিরের সামনে পুলিশের পাশাপাশি অবরোধবিরোধী অবস্থান নিয়ে সর্তক অবস্থায় আছেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন। এতে নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা প্রতিরোধে নজর রাখছেন।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই দিনে প্রতিনিধি সভা ডেকেছে। তারা রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বিএডিসি সেচ ভবনের সামনে বিকাল ৩টায় এ কর্মসূচি করবেন। এতে উপস্থিত থাকবেন শাখা সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/