বাংলাদেশ
সমতায় আসতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ
প্রথম টেস্টে লজ্জাজনক হারের দুঃস্মৃতিকে পেছনে ফেলে, আগামীকাল (শুক্রবার) পোর্ট এলিজাবেথে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টেস্টটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেন্ট জর্জ পার্ক বাদে অন্যান্য ভেন্যুতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে টাইগারদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২টি জয় ও ২১টি হার বাংলাদেশের। এবারের সফরের শুরুতে ওয়ানডে সিরিজে পাওয়া ২টি জয়ই, এখন পর্যন্ত বড় অর্জন টাইগারদের।
তবে পরিবেশ অচেনা হলেও, সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। সিরিজ হার এড়াতে জয় ছাড়া বিকল্প পথ নেই টাইগারদের।
ডারবান টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৫৩ রানে গুটিয়ে যাবার পর ২২০ রানে ম্যাচ হারের তিক্ত স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে অলআউট হবার পর টেস্টে এটিই টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান।
বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জয়, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এবারের সফরের শুরুতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ শিবির।
কিন্তু শেষ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাজেভাবে অলআউট হবার পরও, হাল ছাড়তে রাজি নয় বাংলাদেশ। কেননা কিছু বিষয় পক্ষে থাকলে ম্যাচটি জিততে পারতো বাংলাদেশ। আসলে চতুর্থ দিনের শেষ আধা ঘন্টার আগ পর্যন্ত স্বাগতিকদের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছিলো বাংলাদেশ।
স্পিন অ্যাটাক দিয়ে বাংলাদেশকে ঘায়েল করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা প্রোটিয়াদের মত পেস নির্ভর দেশের খুবই বিরল। যদিও নিজেদের প্রথম সারির পেস আক্রমনকে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু কেউই ভাবেনি, দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার- সাইমন হার্মার এবং কেশব মহারাজ বাংলাদেশের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের জন্য এমন হার এতটাই হতাশাজনক যে, অধিনায়ক মোমিনুল হক বলেছেন- বিদেশের মাটিতে স্পিনারদের উইকেট দেয়া একটি অপরাধ।
২০১৫ সালের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নামা হার্মার ও মহারাজ দু’জনে মিলে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ১৪টি উইকেট শিকার করেন। ঘরের মাঠে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনারদের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর সর্বোচ্চ শিকার।
চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের পারফরমেন্স এতটাই হতাশাজনক ছিল, পেসারদের দুর্দান্ত পারফরমেন্সকে ঢেঁকে দিয়েছে। চতুর্থবারের মত বিদেশের মাটিতে এবং শেষ তিন টেস্টে দ্বিতীয়বারের মত প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ম্যাচে পেসারদের শিকার ছিল ১০এর বেশি উইকেট ।
বাংলাদেশের ত্রয়ী পেস আক্রমনে ছিলেন খালেদ আহমেদ-এবাদত হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ। এরমধ্যে ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন তাসকিন। বল হাতে দারুন পারফরমেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের চেয়ে ভালো করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার অ্যালান ডোনাল্ড। নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হিসাবে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টাইগারদের পেসারদের নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ডোনাল্ড জানান, পেসাররা যদি এই পারফরমেন্স অব্যাহত রাখতে পারে, তবে পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত কিছু করার ভালো সুযোগ থাকবে। এই উইকেট পেসারদের সুযোগ আসবে, তবে ডারবানের মত নয়।
পোর্ট এলিজাবেথে বাংলাদেশের প্রথম অনুশীলন সেশনে ডোনাল্ড বলেন, আমি মনে করি প্রখম টেস্টে বাংলাদেশি পেসারদের পারফরমেন্স নিয়ে গর্ব করা যায়। এমন পারফরমেন্সই আশা করেছিলাম। আমরা এখানে মানিয়ে নিতে পেরেছি, এটা খুব ভালো ছিল। আমরা পার্টনারশিপে বোলিং নিয়ে কথা বলেছি। সব পেস বোলারই ভাল পারফরমেন্স করেছে।
বাংলাদেশ দল : মোমিনুল হক (অধিনায়ক), আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল হাসান জয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান, সাদমান ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, তামিম ইকবাল ও ইয়াসির আলি।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : ডিন এলগার (অধিনায়ক), তেম্বা বাভুমা, ড্যারিন ডুপাভিলন, সারেল এরউই, সাইমন হার্মার, কেশব মহারাজ, উইয়ান মুলডার, ডুয়েন অলিভিয়ার, কিগান পিটারসেন, রায়ান রিকেল্টন, লুথো সিপামলা, গ্লেণটন স্টুরম্যান, কাইল ভেরিনি (উইকেটরক্ষক), লিজাড উইলিয়ামস ও কায়া জন্ডো।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ