বাংলাদেশ
মোংলা বন্দরের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে কারা ?
মোংলা বন্দরের ইনার বারে চলমান ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যহত করতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এই চক্রটি বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে বন্দরের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছে। কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি এসব করছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার।
রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে তরফদার আরও বলেন, বন্দরে সাড়ে ৯ মিটার বাণিজ্যিক জাহাজ প্রবেশে জরুরিভাবে হাড়বাড়িয়া থেকে জেটি পর্যন্ত ২৩ দশমিক চার মিটার ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের ২৩ মার্চ। ড্রেজিংয়ের এই বালু ফেলার জন্য মোংলা উপজেলার জয়মনিরগোলা হতে কাইনমারী পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ দুই বছরের জন্য ৭০০ একর জমি হুকুমদখল করে। ওই জমির মালিককে ক্ষতিপূরণসহ জমি ব্যবহার শেষে তাদের জমি ফেরৎ দেওয়া হবে।
এছাড়া সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হওয়ায় ড্রেজিংয়ের মাটি কোন অবস্থাতাতেই সুন্দরবনের মধ্যে ফেলা যাবেনা। তাই বৃহত্তর স্বার্থে সুন্দরবনের বাইরে পশুর নদীর তীরবর্তী এলাকার জমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলতে হচ্ছে।
কিন্তু একটি কুচক্রী মহল এই জমিতে বালু ফেলতে বাধা সৃষ্টি করে কথিত আন্দোলনের চেষ্টা করছে। ওই মহলটি বন্দর কর্তৃপক্ষের লীজ নেওয়া ওই জমিটি কৃষি জমি উল্লেখ আন্দোলন গরম করছে। এসব সুবিধাবাধী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বন্দরের কর্তৃপক্ষের পদস্থ কর্মকর্তা কমডোর আব্দুল তরফদার।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সুত্র জানায়, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এ্যাংকোরেজ থেকে জেটি পর্যন্ত ২৩ দশমিক চার মিটার নৌ পথের গভীরতা কম থাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ সমস্যা ছিল বন্দর চ্যানেলের প্রবেশ মুখ বা আউটার বারেও। তবে সম্প্রতি ড্রেজিং করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধান করেছে। এখন অনায়াসেই সাড়ে ৯ মিটারের দেশি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য নিয়ে বন্দরের হাড়বাড়িয়া পর্যন্ত নোঙ্গর করছে।
কিন্তু সমস্যা ইনার বারের (হাড়বাড়িয়া থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত) ২৩ দশমিক চার মিটার নিয়ে। এটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ ড্রেজিং শুরু করেছে। গত ২০২১ সালের ১৩ মার্চ থেকে থেকে ৭' শ ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কার্যক্রম শুরু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার দুপুরে মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবয়ন এবং গুরুত্ব সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন, সচিব ও হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও সিভিল ও হাইড্রলিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শওকত আলী।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ