আইন-বিচার
সিরিয়াল কিলারকে কারাগার থেকে বের করেন এক রাজনৈতিক নেতা
গ্রেপ্তার হয়েছে সিরিয়াল কিলার সাগর আলী, তার পরিকল্পনা ছিল টাঙ্গাইলের এক জনপ্রতিনিধিকে হত্যা করা। তাকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে কারাগার থেকে জামিনে বের করেন সেখানকারই এক রাজনৈতিক নেতা। মূলত টাঙ্গাইলের এক জনপ্রতিনিধিকে হত্যার জন্যই তাকে কারাগার থেকে বের করা হয়। তবে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। বললেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, ঢাকার আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গেলো ২ অক্টোবর গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে স্ত্রীসহ সিরিয়াল কিলার সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার সাগর আলী এ বিষয়ে কোন তথ্য দিয়েছে কি না জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা সাগর আলীকে গ্রেপ্তার করেছিলাম একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায়। এর আগে ২০১৮ সালেও একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। সাগর আলী জামিনে বের হয়ে এসে আবার একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাগর র্যাবকে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় তার এলাকার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি তাকে জামিন পেতে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছে। সেই জনপ্রতিনিধি সাগরের জামিন এবং টাকা দিয়ে সহায়তা করেছে আরেকজন প্রতিনিধিকে হত্যার জন্য।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ হয়েছে, সেসবও সেই গণমাধ্যমের নিজস্ব অনুসন্ধান। তবে সাগর আমাদেরকে যে তথ্যগুলো দিয়েছেন, এগুলো সঠিক কি না যাচাই বাছাই করছি। এছাড়া, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমরা সাগরের কাছ থেকে যার নাম পেয়েছি, এ বিষয়ে তদন্ত করছি।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ