রাজশাহী
রাজশাহীর ৬টি আসনে ১৮ জনের মনোনয়ন অবৈধ, বৈধ ৩৭
আসছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহীর ৬টি আসনে ৬০টি প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও অপেক্ষায় আছে আরও পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন। বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৩৭ প্রার্থীর মনোনয়ন।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন যাছাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানানো হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী ৬টি আসনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এই ঘোষণা দেন। এর মধ্যে জাল স্বাক্ষর, ঋণখেলাপি, তথ্যে ভুল, তালিকা অসম্পূর্ণ আছে। তাই তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
রাজশাহী-১ আসনে চারজনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরা হলেন, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুণ্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সদস্য আয়েশা আক্তার ডালিয়া ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি)। তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন এই আসনে।
মনোননয় বৈধ হয়েছে যাদের তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জামাল খান দুদু, বিএনএম প্রার্থী শামসুজ্জোহা, বিএনএফ প্রার্থী আল সাদ, এনপিপি প্রার্থী নুরুনন্নেন্সা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট প্রার্থী বশির আহমেদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।
রাজশাহী-২ থেকে মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ কর্মী অ্যাড. আবু রায়হান মাসুদ, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ কর্মী রেজাউন নবী আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ও সাবেক মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি নেতা শাহাবুদ্দিন বাচ্চু। এরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. শামীমের। তার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজশাহী-২ আসনে মনোনয়ন বৈধ হওয়ার হলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, মহানগর জাসদ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, জাতীয় পার্টির মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, বিএনএম প্রার্থী কামরুল হাসান, মুক্তিজোটের প্রার্থী ইয়াসির আলিফ বিন হাবিব, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মারুফ শাহরিয়ার।
রাজশাহী-৩ আসনে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও অপেক্ষামান আছে আরও দুইজন প্রার্থীর। মনোনয়ন অবৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন, গণফ্রন্টের প্রার্থী মনিরুজ্জামান, স্বতন্ত্র প্রার্থী নিপু হোসেন ও শাহাবুদ্দিন বাচ্চু। অপেক্ষায় আছেন, এনপিপির প্রার্থী সইবুর রহমান ও মুক্তিজোটের প্রার্থী এনামুল হক।
রাজশাহী-৩ থেকে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়েন উদ্দিন, বিএনএম প্রার্থী মতিউর রহমান মন্টু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান হোসেন, আরেক প্রার্থী আবদুস সালাম, বিএনএফ প্রার্থী বজলুর রহমান।
রাজশাহী-৪ আসনে একজনের প্রার্থী অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল হোসেন। এছাড়াও অপেক্ষায় আছেন এনপিপি প্রার্থী জিন্নাতুন ইসলাম জিন্নাহ, বিএনএফ প্রার্থী মতিউর রহমান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু তালেব প্রামানিক।
এই আসনে বৈধরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক, বিএনএম প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রায়হান।
রাজশাহী-৫ থেকে মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ও জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান। এ দুজনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।
মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনীত প্রার্থী কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান, গণফ্রন্টের প্রার্থী মোখলেসুর রহমান, বিএসপি প্রার্থী আলতাফ হোসেন মোল্লা, জাকের পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বিএনএম প্রার্থী শরিফুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন।
রাজশাহী-৬ আসনে মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে দুই প্রার্থীর। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী খায়রুল ইসলাম ও ইসরাফিল বিশ্বাস।
এই আসনে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়ার আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক, জাসদ প্রার্থী জুলফিকার মান্নান জামি, এনপিপি প্রার্থী মোহসীন আলী, জাকের পার্টির প্রার্থীর রিপন আলী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুদ্দিন রিন্টু, বিএনএম প্রার্থী আবদুস সামাদ।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ