শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ২৩ দফা নির্দেশনা দিল ডিপিই
আগামী ৮ জানুয়ারি রংপুর,বরিশাল ও সিলেট বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫ টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
ঐদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছে ডিপিই
সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।২. পরীক্ষার দিন সকাল ৯টায় প্রার্থীকে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং পরীক্ষার হলে ওএমআর শিট দেওয়া হবে।
৩. পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ওএমআর ফরম জমা না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। তাই পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সব প্রয়োজন মিটিয়ে আসতে হবে।
৪. কক্ষ পরিদর্শকের অনুমতি ব্যতীত নিজ আসন ছাড়া অন্য কোনো আসনে বসা যাবে না।
৫. প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি–জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিকস হাতঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, যোগাযোগের যন্ত্র বা এ–জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন, তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬. পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকক্ষে অবস্থানকালে অবশ্যই উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে।
৭. আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীর দেওয় ছবি হাজিরা শিটে থাকবে এবং ইনভিজিলেটর এ ছবি দিয়ে পরীক্ষার্থীকে যাচাই করবেন। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৮. আবেদনপত্রে প্রার্থীর দেওয়া স্বাক্ষরের সঙ্গে পরীক্ষার হাজিরা শিটে এবং ওএমআর শিটে দেয়া স্বাক্ষরসহ সব তথ্যে মিল থাকতে হবে।
৯. পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে অবশ্যই কালো বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।
১০. একজন পরীক্ষার্থীর জন্য ওএমআর ফরমের সেট কোড পূর্বনির্ধারিত থাকবে। পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত ওএমআর ফরমের সেট কোডটি প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা আছে।
১১. পরীক্ষার হলে যে ওএমআর ফরম দেয়া হবে, সেখানে সেট কোডের ঘরে প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা কোডটির বিপরীতে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
১২. ওএমআর ফরম পাওয়ার পর ফরমের ডান দিকে নিচে লেখা নির্দেশনা খুব ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে।
১৩. পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের সেট কোড এবং ওএমআর ফরমের সেট কোড ভিন্ন হবে। পরীক্ষার্থীর ওএমআর সেট কোডের বিপরীতে কোন সেট কোডের প্রশ্ন পাবেন, তা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কক্ষ পরিদর্শক জানিয়ে দেবেন। পরীক্ষার্থী সঠিক কোডের প্রশ্নটি পেলেন কি না, তা নিজে নিশ্চিত হবেন।
১৪. প্রবেশপত্রে নির্ধারিত ওএমআরের সেট কোড ব্যতীত অন্য সেট কোডে পরীক্ষা দিলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৫. রোল বা সেট কোডের বৃত্ত পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৬. হাজিরা শিটের সঠিক স্থানে পরীক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে এবং হাজিরা বৃত্তটি পূরণ করতে হবে, তা না হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৭. ওএমআর ফরমের উপরিভাগের নির্ধারিত সব টেক্সট বক্স নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে, অন্যথায় উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৮. পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে আসন কোন রুমে,তার তালিকা টানিয়ে দেয়া হবে। এক পরীক্ষার্থীর জায়গায় অন্য কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে।
১৯. পরীক্ষা চলাকালে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না। যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কিংবা কোনো অসদুপায় অবলম্বন করা হলে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হবে।
২০. পরীক্ষার আগে, চলাকালে কিংবা পরে পরীক্ষার্থী কক্ষ পরিদর্শকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে বা কোনো অন্যায় আচরণ করলে ও তা প্রমাণিত হলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে।
২১. পরীক্ষার হলে কক্ষ পরিদর্শকের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
২২. পরীক্ষা শেষে কক্ষ পরিদর্শক লেখা বন্ধ করতে বলার সঙ্গে সঙ্গে লেখা বন্ধ করতে হবে।
২৩. কক্ষ পরিদর্শক ওএমআর ফরম ও প্রশ্নপত্র জমা নেওয়ার পর তারা তা গুনে সব ঠিক পাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের যার যার আসনে বসে থাকতে বলবেন। তারা যেতে না বলা পর্যন্ত কেউ কক্ষ ত্যাগ করবেন না।
প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে এবারই প্রথম বিভাগ অনুযায়ী পৃথক আবেদন নেয়া হয়।পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেয়া হবে।
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//
শিক্ষা
আজ থেকে শুরু একাদশ শ্রেণির ক্লাস
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) হওয়ার কথা ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে পিছিয়ে তা শুরু হচ্ছে আজ।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে একাদশের ক্লাস শুরু করতে বলেছে। এরইমধ্যে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে কমিটি বলছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) থেকে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় বুধবার (০৭ আগস্ট) শেষ হয়েছে। তবে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চতুর্থ ধাপের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ ও শিক্ষার্থী নির্বাচনের পরও কিছু কলেজ মাদ্রাসায় সিট খালি থাকায় ও কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির আবেদন করেননি বা আবেদন করে কলেজ সিলেকশন পাননি তারা এবং যেসব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েও কলেজে ভর্তি হতে পারেননি বা নিশ্চায়ন করতে পারেননি তারা চতুর্থ ধাপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://www.xiclassadmission.gov.bd) প্রবেশ করে নির্দেশিকা অনুসারে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কলেজের আসন সংখ্যা দেখে ৫টি থেকে ১০টি কলেজে আবেদনের চয়েজ দিতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। ব্যাংক কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে।
জানা গেছে, ১১ থেকে ১৪ আগস্ট (বুধবার) রাত ১০টা পর্যন্ত চতুর্থ বা সর্বশেষ ধাপের আবেদন গ্রহণ করা হবে। ১৭ আগস্ট (শনিবার) রাত ৮টায় চতুর্থ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৮ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চায়ন করতে হবে। চতুর্থ ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।
এসি//
শিক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাগুলো। বুধবার (৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে সই করেছেন সরকারি মাধ্যমিক শাখা-২ এর উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড মোরশেদ আলী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর পরীক্ষাসমূহ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করে পরীক্ষা গ্রহণের বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দফায় দফায় চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তিন দফায় আট দিনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বোর্ডগুলো। পরে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানানো হয়।
চলমান পরিস্থিতিতে প্রথমে গেলো ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তৃতীয় দফায় ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সূচি অনুযায়ী যত পরীক্ষা ছিল, তা সব স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
গেলো ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
এসি//