আওয়ামী লীগ
শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল চান এ কে আজাদ
প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শামীম হক। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে আবেদনকারী দুই প্রার্থীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেইসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার শামীম হকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
এদিকে, দ্বৈত নাগরিকত্ব অভিযোগ নিয়ে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দলীয় মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) ও মো. ফারুক হোসেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, শামীম হক একই সঙ্গে নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ডাচ পাসপোর্টধারী ও ভোটার। এমন একজন ব্যক্তি কিভাবে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
জানা গেছে, শামীম হক নেদারল্যান্ডে থাকার সময় দীর্ঘদিন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এই পদে থাকতে হলে যেকোন ব্যক্তিকে ওই দেশের নাগরিক হতে হয়। প্রবাস রাজনীতিতে দলীয় পদ পদবি পেতে হলে স্বস্ব দেশের ভোটার ও বৈধ নাগরিক হতে হয়।
রিটার্নিং অফিসার বরাবর জমা দেয়া আবেদনে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সংসদীয় ২১৩ ফরিদপুর-৩ আসনে জনাব শামীম হক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, যিনি একজন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্টধারী দ্বৈত নাগরিক, যাহা বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ‘গ’ ধারা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। উক্ত প্রার্থীর দ্বৈত নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রমানপত্র দেখাতে না পারলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। চিঠির একটি অনুলিপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবরও পাঠানো হয়।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে হলে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া ছাড়াও বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতে হবে। এ ছাড়া অপ্রকৃতিস্থ, দেউলিয়া কিংবা দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। ৬৬ ধারায় আরও উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে ও পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে; কিংবা অন্য ক্ষেত্রে পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তিনি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন বলে গণ্য হবে না।
এ বিষয়ে আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে এখনো হাইকোর্টে কোনো মামলা হয়নি। তবে কেউ দ্বৈত নাগরিক হলে সংবিধান অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/