রাজশাহী
সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের কমিটি অনুমোদন
সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এই সংগঠনটি আশার আলো দেখবেন এমনটি প্রত্যাশা করেছে নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (০১ ডিসেম্বর ) মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুরাইয়া আক্তার সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।পরে কমিটির নেতৃবৃন্দ সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদারকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছে নাসিমা আক্তার কে যিনি দীর্ঘদিনের রাজপথ থেকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নিজেকে আওয়ামিলীগের ত্যাগী কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং সিরাজগঞ্জ জেলা যুব মহিলালীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিরাজগঞ্জ পৌর যুবমহিলালীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী মুক্তা মনি কে।যিনি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় পর্রবর্তীতে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে তার মেধা দক্ষতা ও বিচক্ষণতা দিয়ে নারীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।সিরাজগঞ্জ জেলা যুব মহিলালীগের সহ সভাপতি দায়িত্ব পেয়ে সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধিতে নানা কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে মুক্তা মনি সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ মসৃণ রাখতে সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ততা রেখে যতদিন বেঁচে আছি দলের জন্য কাজ করে যাবো।
জেলা কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি নাসিমা আক্তার বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমরা সকলে মিলে নিষ্ঠার সাথে তা পালন করবো। সিরাজগঞ্জের সকল মহিলা শ্রমিকদের সাথে নিয়ে একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠন গুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এএম/
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ