বাংলাদেশ
শ্লোগান আর ভাষণে দেশ স্বাধীন হয় নাই : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশটা শ্লোগানে আর ভাষণে স্বাধীন হয় নাই। দেশটা স্বাধীন হয়েছে, যুদ্ধের মাধ্যমে বহু রক্তের বিনিময়ে। কাজেই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে আরেকটি গণতান্ত্রিক যুদ্ধের জন্য।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার নবাবগঞ্জে কলাকোপা পুকুর পাড় খন্দকার বাড়ির আঙ্গিনায় আয়োজিত ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার বিএনপির পৃথক দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী জনশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। যারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চান সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে আমাদেরকে মাঠে নামতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং নির্বাচনকালীন সময়ে যে নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল সহ বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দরবেশ বাবারা দেশ চালাচ্ছেন। এই দরবেশ বাবারা জনগণকে ভয় পায় বলেই তারা বিরোধী দলকে সভা সমাবেশ করতে দেয় না। আপনারা দরবেশ বাবাদের ভয়ে ভীত হবেন না। কয়েকদির পর দেখবেন এই দরবেশ বাবারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিএনপি দেশের জাতীয় স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক রাখবে, দেশটাকে দেউলিয়া করে নয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক বলেন, এই অবৈধ সরকারের পুলিশ বাহিনী আমাদের কোন অনুষ্ঠান করতে দেয় না। আমাদেরকে গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলনে নামতে হবে। বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে। বিএনপি চায় জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতা পরিবর্তন হোক।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উদ্বোধনকালে বলেন, বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে আওয়ামিলীগ ভয় পায়। যখনই বিএনপি সুসংগঠিত হয় তখনই অবৈধ সরকার ও প্রশাসনের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কারণ তারা তখন দুর্নীতি, লুট ,চাঁদাবাজী ও অন্যায় করতে পারবে না তাই তারা আমাদেরকে অনুষ্ঠান করতে দেয় না। এই অবৈধ সরকারকে একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমেই পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, দেশকে একটি বাকশাল তৈরী করে রেখেছেন আওয়ামীলীগ। এই ভোট চোর সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না স্পষ্ট বলে দিয়েছেন দেশনায়ক তারেক রহমান।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আজাদুল ইসলাম হাই পান্নুর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস ছালাম আজাদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে আজাদুল ইসলাস হাই পান্নুকে সভাপতি ও আবুল কালাম খন্দকার কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিএনপির কমিটি ঘোষনা করা হয়।
পরে দুপুরে একই স্থানে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে দোহার উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষনা করেন। এতে নজরুল ইসলাম মেছের কে দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মাসুদ পারভেজকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।
এসআই/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ