এশিয়া
গাড়ির ভেতরই দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন একই পরিবারের ৮ জন
বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হলো গোটা পরিবারের। হাইওয়ের উপর একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারতেই গাড়িটির কোনও অংশ আটকে যায় ট্রাকের সঙ্গে। ছেঁচড়ে গা়ড়িটিকে কিছু দূরে নিয়ে যায় ট্রাক। ঘর্ষণে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কিন্তু ‘সেন্ট্রাল লক্’ খুলে বাইরে বেরোতে পারেননি কেউ। গাড়ির মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু হলো এক শিশুসহ একই পরিবারের আট জনের। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে ট্রাকটিও। শনিবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বরেলির কাছে
পুলিশ জানায়, ভোজপুরার কাছে বরেলি-নৈনিতাল হাইওয়ে দিয়ে আসছিল গাড়িটি। কিন্তু আচমকাই সেটির চাকা ফেটে যায়। যার ফলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার অন্যদিকে চলে যায়। সেই সময়ই উত্তরাখণ্ড থেকে আসছিল একটি ট্রাক। গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায় গাড়িতে। কিন্তু গাড়িটি লক থাকায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা গাড়ি থেকে কোনও যাত্রীই বেরতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভিতরেই জীবন্ত দগ্ধ হন তারা। মৃতদের মধ্যে ৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক। একজন শিশু।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বরেলির একটি পরিবারের আট জন সদস্য বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন একটি গাড়িতে চড়ে। আধুনিক প্রযুক্তির সেই গাড়িতে ছিল ‘সেন্ট্রাল লক্’। অর্থাৎ, চালক নিজেই চারটি দরজা খোলা-বন্ধ করতে পারবেন নিজের আসনে বসেই। ভোজিপুরার কাছে আচমকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথ বিভাজিকা টপকে উল্টো দিক থেকে ছুটে আসা একটি ট্রাকে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার পর গাড়ির একটি অংশ ট্রাকের সঙ্গে আটকে যায়। ট্রাকটি ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে গাড়িটিকে কিছু দূর নিয়ে যায়। তার পর থেমে যায়। ঘর্ষণের জেরে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে শিশুটিকে নিয়ে গাড়ির সওয়ারিরা দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই তারা গাড়ির দরজা খুলতে পারেননি। কোনও কারণে গাড়ির দরজাগুলি আটকে যায়। তার পর গাড়ির ভেতরেই বদ্ধ অবস্থায় ঝলসে মৃত্যু হয় আট জনেরই। সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে ট্রাকটিও।
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/