বাংলাদেশ
পুষ্টি পরিস্থিতিতে এখনো পিছিয়ে কুড়িগ্রাম
সরকারি তথ্য মতে বাংলাদেশের পুষ্টি পরিস্থিতিতে এখনো বেশ কয়েকটি সূচকে পিছিয়ে রয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা।
আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ উপস্থাপিত তথ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন সূচকে কুড়িগ্রাম জেলা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বলে তথ্যে উঠে এসেছে।
পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় বিডিএইচএস ও ২য় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনার বরাদ এবং ন্যাশনাল স্টাটাসে দেখা যায়, ৫বছরের কম বয়সী খর্বকায় বা বয়সের তুলনায় খাটো শিশুর যেখানে বাংলাদেশের মোট গড় ২৮ভাগ সেখানে কুড়িগ্রাম জেলার মোট গড় ২৯ভাগ। কৃষকায় বা উচ্চতার তুলনায় কম ওজনে সারাদেশের গড় হল ১০ভাগ, সেখানে কুড়িগ্রাম জেলার গড় ১৩ভাগ। অপরদিকে কম ওজন বিশিষ্ট বা বয়সের তুলনায় কম ওজন শিশুর বাংলাদেশের মোট গড় ২৩ ভাগ হলেও সেখানে কুড়িগ্রাম জেলার অবস্থান উন্নতি হয়েছে, এখানে শিশুর গড় হল ১৮ভাগ।
কুড়িগ্রাম জেলার পুষ্টি প্রোফাইলে দেখানো হয়েছে মোট জনসংখ্যা ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩জন। এরমধ্যে শিশু রয়েছে ৩লাখ ৩ হাজার ৫৬জন এবং কিশোর-কিশোরী রয়েছে ৪লাখ ৮০হাজার ৫২১জন। যে শিশুরা পুষ্টি পরিস্থিতিতে এখনো পিছিয়ে রয়েছে।
এদিকে পানির প্রাপ্যতার দিক থেকে বাংলাদেশের মোট গড় যেখানে ৯৯ভাগ, সেখানে কুড়িগ্রাম জেলা রয়েছে শতভাগে। তবে স্যনিটেশন ব্যবস্থাপনায় কুড়িগ্রাম জেলা বাংলাদেশের মোট গড়ে ৬৪ ভাগের সাথে রয়েছে। হাত ধোয়া ও সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মোট গড় ৭৫ভাগ, সেখানে কুড়িগ্রাম জেলা ৬৫ভাগে পিছিয়ে রয়েছে।
সার্বিক পস্থিতিতে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সূচকে দেখা গেছে, উচ্চতার তুলনায় কম ওজন ২০১৪ সালে ছিল ১৪ ভাগ, ২০১৯ সালে নেমে দাঁড়িয়েছে ১০ ভাগ, ২০২৫ সালে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ ভাগ। বয়সের তুলনায় কম ওজন ২০১৪ সালে ছিল ৩৩ ভাগ, ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৩ ভাগ, ২০২৫ সালে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ ভাগ। বয়সের তুলনায় খর্বকায় ২০১৪ সালে ছিল ৩৬ ভাগ, ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৮ ভাগ, ২০২৫ সালে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ ভাগ।
জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে আরো এগিয়ে আসতে হবে। আমরা মধ্যমেয়াদি কার্যক্রম পরিকল্পনা থেকে এখন দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত হয়েছি। আসছে ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদেরকে টার্গেট পুরণ করতে হলে সরকারের দেয়া কার্যক্রমগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
মির্জা রুমন
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ