জাতীয়
সেনাবাহিনীর ইএমই কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হলেন লে. জেনারেল সাইফুল
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইএমই কোরের ১১তম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর সেনানিবাসে ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক রীতি ও ঐতিহ্য মেনে তার অভিষেক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে ইএমই কোরের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলকে ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন।
এর আগে নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে তাকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয়। ইএমই কোরের একটি চৌকস দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এসব আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী সামরিক রীতি অনুযায়ী ইএমই কোরের অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। শুরুতেই তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ইএমই কোরের বীর সেনানীসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। এ সময় তিনি সেনাবাহিনীর রীতি-নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দৃঢ়তা, পেশাগত দক্ষতা এবং দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ ও জাতি গঠনে যেকোনো দায়িত্ব পালনে ইএমই কোরের সব সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন।অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম ১৯৮৬ সালের ২৭ জুন ১৪তম দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি ২০২১ সালের ২৯ জুলাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি তার কোর্সের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ড ক্যাডেট হিসেবে বিবেচিত হয়ে ‘Sword of Honour’ এবং শ্রেষ্ঠ অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের জন্য ‘BMA Gold Medal’ অর্জন করেন। এছাড়া তিনি রণ কৌশলগত প্রশিক্ষণে উৎকর্ষতার জন্য ‘Tactics Plaque’ অর্জন করেন।
লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ডিফেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি মালয়া ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া থেকে স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স স্টাডিজে ডিপ্লোমা, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ওয়ার কলেজ থেকে স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
দীর্ঘ ৩৮ বছরের বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে সাইফুল আলম সব স্তরের কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি পদাতিক ব্রিগেড এবং দুটি পদাতিক ডিভিশন কমান্ড করেন। তিনি নবগঠিত ৭ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ১১ পদাতিক ডিভিশনও কমান্ড করেন।
লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বোৎকৃষ্ট দুটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস এবং বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম এবং তার সহধর্মিণী বেগম লুবনা আফরোজ দুই কন্যা সন্তানের জনক-জননী।
এএম/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ