Connect with us

আন্তর্জাতিক

গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ: হামাসের উপপ্রধানকে হত্যার পরিণতি কী হতে পারে

Avatar of author

Published

on

হামাসের-উপপ্রধান-সালেহ-আল-আরৌরি

ইসরায়েল-ঘোষিত গুপ্তহত্যা মিশনের প্রথম শিকার হয়েছেন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি। কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন, বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যা করা হবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের গেলো ৭ অক্টোবরের হামলার পর এ ঘোষণা দেয় তারা।

গতকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে প্রতিবেশী দেশ লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হন হামাসের উপপ্রধান সালেহ।

গুপ্তহত্যার জন্য সালেহকে ইসরায়েল সতর্কতার সঙ্গেই বেছে নিয়েছে। কারণ, তিনি হামাসের অন্যতম জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা। এছাড়া ইরান ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র রক্ষার প্রধান ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরেও প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন সালেহ। তার জন্ম পশ্চিম তীরে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছিল হামাস। হামাসের এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক লোকজন। একই সঙ্গে প্রায় ২৪০ জনকে ইসরায়েল থেকে ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় নিয়ে জিম্মি করে হামাস।

Advertisement

কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার ধারণা, ৫৭ বছর বয়সী সালেহ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরিকল্পনার কথা আগে থেকেই জানতেন।

গেলো শতকের আশির দশকের মাঝামাঝি সময় পশ্চিম তীরের হেবরন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে সালেহ ইসলামি আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসলামপন্থী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছিল।

প্রথম ইন্তিফাদার জেরে ১৯৮৭ সালে হামাস প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিষ্ঠার পরই হামাসে যোগ দেন সালেহ। তিনি হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস গঠনে সহায়তা করেছিলেন।

১৯৯২ সালে সালেহকে জেলে পাঠায় ইসরায়েল। পরবর্তী ১৮ বছরের প্রায় পুরো সময়ই তিনি কাটিয়েছেন ইসরায়েলি কারাগারে।

একজন অপহৃত ইসরায়েলি সেনার বিনিময়ে ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীকে ২০১০ সালে মুক্তি দেয়া হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা আলোচনায় সহায়তা করেছিলেন সালেহ।

Advertisement

প্রথমে সিরিয়ায় অবস্থান করে হামাসের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন সালেহ। পরে কাতার যান। সবশেষ তিনি লেবাননে বসে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

সালেহ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে, বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হামাসের একজন বিচক্ষণ নেতার খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

পশ্চিম তীরে হামাসের নেটওয়ার্ক ও প্রভাব বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সালেহ। তিনি ফিলিস্তিনের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল ফাতাহর সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ, আলাপ-আলোচনা, সমঝোতার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছিলেন। উল্লেখ, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষে এই দলের (ফাতাহ) প্রাধান্য রয়েছে।

দক্ষতাগুণে হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাঠামোয় পদোন্নতি পেয়ে ওপরের দিকে উঠতে থাকেন সালেহ। তিনি হামাসের শক্তিশালী ‘পলিটব্যুরোর’ সদস্য।

২০১৭ সালে সালেহ হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান নির্বাচিত হন। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

Advertisement

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান হওয়ার পর সালেহর ভূমিকা আরও বেড়ে যায়। তিনি হামাসের উচ্চপর্যায়ের একজন গুপ্তদূত হিসেবে কাজ করছিলেন। হামাসের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তাঁর সংশ্লিষ্টতা ছিল। তিনি হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্রও ছিলেন। তবে সালেহ তাঁর কট্টরবাদী পরিচিতিও বজায় রেখেছিলেন।

পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক অভিযানে অর্থায়নসহ তা পরিচালনার জন্য ২০১৫ সালে সালেহকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বা অর্থ দপ্তর। বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা, ছিনতাই ও অপহরণের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র তার বৈশ্বিক সন্ত্রাসীর তালিকায় সালেহর নাম তোলে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য চেয়ে তারা পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে।

৭ অক্টোবরের হামলার পরপরই হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন সালেহ। ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধে ‘প্রকৃত বিজয় অর্জনের কৌশল’ নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। পরে বৈঠকটির ছবি প্রচার করা হয়।

পাল্টা হিসেবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। একপর্যায়ে কাতারের মধ্যস্থতায় কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, হামাস কিছুসংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির এই আলোচনায় সালেহর ভূমিকা ছিল।

Advertisement

ইসরায়েলের বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, উভয় পক্ষের ব্যক্তিদের মুক্তির তালিকা তৈরিতে সালেহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তার এ ভূমিকাকে ‘অপরিহার্য’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বারবার ইঙ্গিত দিয়ে এসেছেন যে হামাস নেতারা তাদের নিশানায় আছেন।

গেলো বছর নভেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে হামাসের সব নেতা, তারা যে যেখানেই থাকুন না কেন, তাদের হত্যা করতে হবে।

গেলো ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের প্রধানের একটি রেকর্ডিং ফাঁস হয়। এতে তিনি ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সদস্যদের বলেন, গাজা, পশ্চিম তীর, লেবানন, তুরস্ক, কাতার—সর্বত্র হামাস নেতাদের হত্যা করা হবে।

১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরায়েলি দলের ওপর একটি সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামলা চালায়। এ হামলার জেরে গুপ্তহত্যা মিশন শুরু করেছিল ইসরায়েল। এর সঙ্গে ইসরায়েলের বর্তমান গুপ্তহত্যা মিশনের তুলনা করা হচ্ছে। সেই প্রচেষ্টার মতো এই মিশনও (গুপ্তহত্যা) ইসরায়েলিদের আশ্বস্ত করতে পারে।

Advertisement

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার বিষয়ে আগে জানতে না পারার মতো অত্যন্ত গুরুতর গোয়েন্দা ব্যর্থতার জেরে ইসরায়েলের বর্তমান সরকার তীব্র সমালোচনা ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে। নেতানিয়াহুর নেওয়া গুপ্তহত্যার মিশন তাঁর সরকারের প্রতি জনসমর্থন জোরদার করতে পারে।

তবে উদ্বেগও আছে। কেননা, এই ধরনের কৌশল ইসরায়েলের জন্য বুমেরাং হতে পারে।

ইসরায়েলের আগের গুপ্তহত্যার নিশানা থাকা কেউ কেউ গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তারা নিবৃত্ত হননি, বরং তারা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছেন।

অন্যরা বলছেন, এ ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যক্তি বা সংগঠনের যেকোনো ক্ষতিই সাময়িক।

বিশ্লেষকেরাও বলেছেন, গুপ্তহত্যার পরিণতি প্রায়ই খুব অপ্রত্যাশিত বা অনিশ্চিত হয়ে থাকে। একজন নেতার মৃত্যু একটি গোষ্ঠীকে তার কৌশল পরিবর্তনে বাধ্য করতে পারে। এমনকি সহিংসতা ত্যাগ করতেও বাধ্য করতে পারে। কিন্তু একইভাবে অন্য কারও উত্থান ঘটাতে পারে, যিনি হয়তো আরও অনমনীয়।

Advertisement

হিজবুল্লাহর প্রধানের আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভাষণ দেয়ার কথা। তিনি ইতিমধ্যে অঙ্গীকার করেছেন, লেবাননের মাটিতে যেকোনো হত্যাকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

সালেহর হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের যুদ্ধকে দুটি ফ্রন্টে নিয়ে যেতে পারে। সেটি হবে এমন এক দৃশ্য, যা ইসরায়েল আগে এড়াতে চেয়েছিল।

Advertisement

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র

Published

on

অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের  নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

Published

on

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।

এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।

সূত্র: রয়টার্স

জিএমএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট

বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে.  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো  গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক  মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন।  তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন?  তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন।  দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।

Advertisement

এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?

জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো  গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it