রাজশাহী
বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা
আসন্ন ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭১ পাবনা-৪ ( আটঘরিয়া – ঈশ্বরদী ) আসনে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিন-রাত ভোটারদের সঙ্গে সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
এদিকে নির্বাচনী উত্তাপে আসনটির গ্রাম-শহরে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। শীতকে উপেক্ষা করে ভোর হতেই নির্বাচনী পোষ্টার হাতে নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে ছুটে চলেছেন প্রার্থী-সমর্থকরা। তারা বলছেন আগামী ৭ তারিখের নির্বাচনে নৌকার জয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছি আমরা। শতভাগ ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
এদিকে পৌর শহরের অলিগলি সহ পুরো আসন ছেয়ে গেছে নৌকার সাদাকালো পোস্টারে। তবে বেশিরভাগ পোস্টারই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফের । এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল না থাকায় আসনটিতে প্রতিদন্দ্বী ছয়টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে প্রচারণার মাঠে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস কে দেখা গেলেও অন্য দলের প্রার্থীদের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
৭ জানুয়ারীর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার শেষ নেই। তারা বলছেন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি যেন এ আসনের শিক্ষা, অবোকাঠামোগত উন্নয়ন, দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখেন। আসনটিতে মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৮ হাজার ৩৩৪ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ১৬২ জন এবং হিজরা রয়েছে ৪ জন । পাবনা ৪ আসনে মোট ভোটার রয়েছে ৪২৯৫০০ জন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ