অন্যান্য
নির্বাচন-হরতালের অজুহাতে সবজির দাম দ্বিগুণ
দেখা যায় প্রতি বছর শীত মৌসুমে বাজারে সবজির দাম সবচেয়ে কম থাকে। তবে এবার বাজারের চিত্র উল্টো। শীতের শুরুতে সব ধরনের সবজির দাম কমলেও বিগত কয়েকদিন ধরে দাম বেড়েই চলেছে। ক্রেতারা বলছেন, এর আগে শীতের এই সময়ে এত দামে কেউ কখনো সবজি কেনেননি। বিক্রেতাদের দাবি— গত মাসের শুরুতে বৃষ্টিতে কিছুটা ফলন নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া, হরতাল অবরোধ ও নির্বাচনের কারণে বাজারে প্রভাব পড়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩০/৪০ টাকার সিম বাজারে এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের শুরুতে ফুলকপির দাম কমে ৩০ টাকা হলেও বর্তমান বাজারে ছোট ফুলকপির দাম ৫০ টাকা। বেগুন কিছুদিন আগেও ৫০/৬০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। শীতের শুরুতে সবজির দাম কমলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বাজারে। এ অবস্থায় ক্রেতারা বলছেন— শীতে সবজির ভরা মৌসুমে গরম বাজার।
এদিন বাজারে গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা আর মুলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকা প্রতি আঁটি ২০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, খিঁড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা এবং পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী জুয়েল আহমেদ। তিনি বলেন, শীতের মৌসুমে আগে কখনোই এত দামে সবজি কিনিনি। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতকালে সবজির দাম কম থাকবে এটা সবার জানা। কিন্তু আজ বাজারে এসে দেখলাম সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি। গত বছর এই সময় টমেটো ৪০ টাকা কেজি কিনেছি কিন্তু এবার ৮০টাকা। কপিরও একই অবস্থা। সবকিছুই প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। সামান্য অজুহাতে বেড়ে যায় দাম। যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সংশ্লিষ্টরা আর বিপদে পড়ি আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা। বাজারে যে সবজির দাম চলছে, তা সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার ছাড়া আর কিছুই না।
মহাখালী বাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী খোরশেদ আলম বলেন, যে সিম কিছুদিন আগে কিনলাম ৩০/৪০ টাকায়, সেই সিম এখন কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকায়। কি অদ্ভুত বিষয়! বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যখন ইচ্ছে বাজার বেড়ে যাচ্ছে। শীতের সময় এত বেশি দামে আগে কখনোই সবজি বিক্রি হতে দেখিনি। শীতের মৌসুমে সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখন বাজার চড়া যাচ্ছে।
শীতের মৌসুমে কেন সবজির দাম বাড়তি— এ বিষয়ে গুলশান সংলগ্ন লেকপাড় বাজারের সবজি বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, এটা ঠিক যে সবজির দাম অনেক বেড়েছে। কারণ, গত মাসের শুরুতে আকস্মিক বৃষ্টিতে খেতে ফসল নষ্ট হয়েছে। হরতাল-অবরোধের প্রভাবও পড়েছিল। এখন নির্বাচনের কারণে অনেক কৃষক ভাবছে— নির্বাচনের পরেই ফসল তুলে বিক্রি করবে। সবকিছু মিলিয়ে বাজারে একটা প্রভাব পড়েছে। কারওয়ানবাজার পাইকারি মার্কেটেও মাল কম আসছে, আর বাড়তি দামও যাচ্ছে। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যে বাজারে সবজি সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।
অন্যান্য
শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই: অর্থমন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেনম প্রত্যাশার চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বেশি সহায়তা করছে।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগেই খোলা হয়নি তালা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গেলো ২৫ থেকে ২৭ জুন তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শাবি শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গেলো ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই দাবি আদায়ে তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টিআর/
অন্যান্য
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৩ টাকা কমেছে। ১২ কেজির দাম ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এই দাম মে মাসের তুলনায় জুনে ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩ টায় এক মাসের জন্য এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গেলো এপ্রিল মাসে কমেছিলো এলপি গ্যাসের দাম। সেই ধারাবাহিকতায় গেলো মে ও জুন মাসেও কমে এলপিজির দাম।
টিআর/
অন্যান্য
এলপিজির দাম কমছে নাকি বাড়ছে, জানা যাবে আজ
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুলাই মাসে বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ দিন বিকেল ৩টায় সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
এর আগে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় এলিজির দাম। পরে গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারে মূল্য ৪০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা। এরপর ২ মে আরও ৪৯ টাকা কমিয়ে কমিয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধরা হয় ১ হাজার ৩৯৩ টাকা। সবশেষ গত ৩ জুন ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
টিআর/