অপরাধ
বোমা প্রস্তুতকালীন সময়ে গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর জুরাইন রেলগেট সংলগ্ন রেললাইনের পাশের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল ককটেল এবং পেট্রোল বোমা প্রস্তুতকালীন সময়ে হাতে নাতে ৩ জন নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেইট সংলগ্ন রেললাইনের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩। এ সময় ককটেল এবং পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করা অবস্থায় ৩০টি ককটেল, ২৮টি পেট্রোল বোমা এবং ৬ টি টেপসহ ৩ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন নাশকতাকারী হলো মো.আবুল কাশেম, মো. ফজলে রাব্বী (২৭) ও মো. আলমগীর হোসেনকে (৩০)।
গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন আলীগঞ্জ এলাকার আয়নাল নামের এক ব্যক্তি তাদের এ ককটেল এবং পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়। এ ককটেল এবং পেট্রোল বোমা দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা ছিল।
তাদের পরিকল্পনা সফল করার জন্য আয়নালের নির্দেশ অনুযায়ী তারা রাজধানীর জুরাইন রেলগেটের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া করে। ওই বাসায় নাশকতাকারীরা ককটেল এবং পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করে।
গ্রেপ্তাররা জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা করার জন্য এ ককটেল এবং পেট্রোলবোমা সরবরাহ করবে। নির্বাচনের পূর্বে ককটেল ও পেট্রোল বোমা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক, জানমালের ক্ষতি ও নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা চালাবে।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ