আওয়ামী লীগ
ভোটারদের অপমান করেছে বিএনপি : বিপ্লব বড়ুয়া
বাংলাদেশের ভোটারদেরকে ‘কুকুর বিড়াল’-এর সঙ্গে তুলনা করেছে বিএনপি। চলমান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভোটারদের অপমান করেছে বলে মন্তব্য করে দলটির প্রতি নিন্দা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ নিন্দা জানান। তিনি (ড.মঈন খান) একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, তার এই অবান্তর ও লজ্জাহীন মন্তব্যের জন্য ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা দরকার।
এর আগে সকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান ‘ভোটকেন্দ্রে কুকুর বিড়াল ছাড়া কেউ নেই’ বলে মন্তব্য করেন। পরে এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
তার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা ভোটারদের ছবি দেখেছি—দীর্ঘ লাইন, ১২০ বছরের বৃদ্ধা মাকে কাঁধে নিয়ে সন্তান ভোটকেন্দ্রে গেছেন। এমন যখন দৃশ্য তখন তার (মঈন খান) এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশে ভোটারদের অপমান করা, বাংলাদেশের জনগণকে অপমান করা। তিনি প্রকারান্তরে বাংলাদেশের ভোটারদেরকে ‘কুকুর বিড়াল’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, তার এই অবান্তর ও লজ্জাহীন মন্তব্যের জন্য ভোটারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা দরকার।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে বিএনপি নির্বাচনকে কিভাবে দেখে, গণতন্ত্রকে কিভাবে দেখে, সংবিধানকে কিভাবে দেখে। তারা বরাবরই সংবিধান, নির্বাচনকে অবজ্ঞা করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন দেখে। তাই তারা বাংলাদেশের ভোটারদের ‘কুকুর বিড়াল’-এর সঙ্গে তুলনা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাকে বিদেশি এক সাংবাদিক টেলিফোনে জানালো—বাংলাদেশে ইউকের (যুক্তরাজ্য) মত নির্বাচন হয়েছে। স্বচ্ছ, অবাধ ও মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো সহিংস ঘটনা কোথাও ঘটেনি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, আমাদের ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করেছে, ভোটকেন্দ্রে ভোট বাতিল করেছে এবং স্থগিত করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগকে নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করে যাচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতি বেড়েছে। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি একটু ধীরগতি ছিলো, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি-জামায়াত ভোটারদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে, নির্বাচন থেকে ভোটারদের দূরে রাখার যে ষড়যন্ত্র করছিল সেটি ব্যর্থ হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে সাধারণ ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসেছেন, ভোট দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি জামাতের অপপ্রচার এখনো থেমে নেই। বিএনপির রিজভী সাহেব আজগুবি কথা বলছেন। অথচ নির্বাচনে প্রায় তিনশ বিদেশি পর্যবেক্ষক রয়েছেন। তারা এ নির্বাচনকে সন্তুষ্টজনক মনে করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
এএম/
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/