আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান শুধু কমছেই
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্থান ৯৭ তম। ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স (এইচঅ্যান্ডপি) বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক-২০২৪ এ ১০৪টি দেশের সূচক প্রকাশ করে। সূচকে দেখা যায় বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ৯৭তম স্থানে রয়েছে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেপাল (৯৮), পাকিস্তান (১০১) ও আফগানিস্তানের (১০৪) তুলনায় এগিয়ে। কোনো দেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়াই কতটি দেশে যেতে পারে তার উপর ভিত্তি করে সূচকে অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের সূচক অনুসারে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ৪২টি দেশে ভিসামুক্তভাবে বা অন-অ্যারাইভাল ভ্রমণ করতে পারবে।
সূচক অনুসারে, মালদ্বীপের পাসপোর্ট ৫৮ তম স্থানে রয়েছে এবং ৯৪টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারসহ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এছাড়াও ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার পাসপোর্ট যথাক্রমে ৮০ তম, ৮৭ তম এবং ৯৬ তম স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালে একইসঙ্গে ৬টি দেশ সর্বাধিক পছন্দনীয় ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছে। পছন্দের দেশগুলো হলো- ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও স্পেন। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা এখন বিশ্বের ১৯৪টি দেশে ভিসামুক্তভাবে বা ভিসা-অন-অ্যারাইভাল ভ্রমণ করতে পারবে।
শীর্ষস্থানে থাকা ৬টি দেশ ছাড়াও হেনলি পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ৫টি র্যাংকিংয়ে থাকা দেশগুলো হলো- ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও সুইডেন। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে ১৯৩টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবে।
সূচকে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে ১৯২টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবে।
সূচকে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, পর্তুগাল ও ইউনাইটেড কিংডম। ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে ১৯১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবে এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা।
১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে গ্রিস ও মাল্টার পাসপোর্টধারীরা এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।
নিচের পাঁচটি র্যাংকিংয়ের মধ্যে রয়েছে- ইয়েমেন, পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তান।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (আইএটিএ) একান্ত ডেটার উপর ভিত্তি করে ১৯ বছরের ঐতিহাসিক তথ্য নিয়ে সূচকটি বিশ্বে অনন্য। বিশ্বব্যাপী পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে হেনলি পাসপোর্ট সূচককে বিশ্বব্যাপী নাগরিক এবং সার্বভৌম রাষ্ট্রসমূহের মান্য রেফারেন্স টুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র
অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।
আই/এ
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
আন্তর্জাতিক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন। তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন? তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।
এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?
জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এমআর//