চট্টগ্রাম
পাচারকালে ৬৯ ড্রাম অকটেন জব্দ, গ্রেপ্তার ৬
কক্সবাজারের দরিয়ানগর এলাকা দিয়ে পাচারকালে ৬৯টি ড্রামভর্তি ২৯০০ লিটার অকটেন জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় সমুদ্র চ্যানেল দিয়ে অবৈধভাবে অকটেন পাচারের দায়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে জ্বালানি তেল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলো, কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালংয়ের সোনার পাড়ার মৃত আবদু সালামের ছেলে মো. আয়াছ ওরফে রিয়াজ (২২), উত্তর সোনারপাড়ার আবদুল্লাহর ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (২০), একই এলাকার মৃত হাজী আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. আলী আকবর (৩৮), পশ্চিম সোনার পাড়ার আহম্মদ কবিরের ছেলে মো. সোহেল (১৯), মো. হাসেমের ছেলে মো. এহাছান উল্লাহ ওরফে রহমত উল্লাহ (২৩) ও রামুর খুনিয়াপালং হিমছড়ির আবদুল করিমের ছেলে মো. দেলোয়ার (২৪)।
মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, কক্সবাজার সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে চোরাকারবারি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশে অকটেন পাচার করছে এমন তথ্য পায় র্যাব-১৫। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫’র একটি চৌকশ দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে আভিযানিক দল কক্সবাজার সদরের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঝিলংজা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দরিয়ানগর ব্রিজের উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে।
বিশেষ অভিযানকালে টেকনাফ অভিমুখী দুইটি নীল রঙের পিকআপে থাকা কতিপয় ব্যক্তি র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে নেমে তড়িৎ গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ৬ জনকে আটক করা হয়। পেছনে থাকা পিকআপের চালকসহ দু’জন দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করেছেন, পিকআপে ড্রামভর্তি অকটেন রয়েছে, যা উখিয়া থানাধীন একটি পেট্রলপাম্প থেকে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বেশি দামে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে দু’টি পিকআপ (রেজিঃ নং-চট্ট-মেট্রো-ন-১১-৮২৬৭ এবং অপরটি রেজিস্টেশন বিহীন পিকআপ) জব্দ করে ৬৯টি ড্রামে সর্বমোট ২৯০০ লিটার অকটেন জব্দ করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ১৮ হাজার ১০০ এবং ৩টি স্মার্ট ও দু’টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
আটকরা পরস্পরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন পেট্রলপাম্প থেকে পাইকারি দামে জ্বালানি অকটেন ক্রয় করে অধিক মূল্যে অবৈধভাবে সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী দেশে চোরাইপথে বেশি দামে পাচার করে আসছিল। আজই তারা ধরা পড়েছে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/