ঢালিউড
‘চরিত্রে ঢোকার মধ্যে স্ট্রাগল নেই, এটাকে আমি ভালোবাসা বলব’
মোশাররফ করিম। যে মানুষটি তার অভিনয়ের পারদর্শিতা দিয়ে যে কোনো চরিত্রকে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলেন দর্শক হৃদয়ে তা গেঁথে থাকে বহুদিন।
আগামী ১৯ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে ব্রাত্য বসু পরিচালিত অভিনেতা মোশাররফ করিমের ‘হুব্বা’ সিনেমা। ছবিটির মুক্তিকে কেন্দ্র করে রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিনেমাটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ করিম।
এই সিনেমায় কাজ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কাজ ওইভাবে বলতে পছন্দ করি না যে এটা অসাধারণ হয়েছে। আমি ডাবিংয়ে যতটুকু দেখেছি তাতে আমার মনে হয়েছে দারুণ কাজ হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আমার পরিচালক ও প্রযোজক দারুণ উচ্ছ্বসিত।’ ‘
‘হুব্বা’র ট্রেলারে বেশ নৃশংস চরিত্রে দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে। এ বিষয়ে অভিনেতার ভাষ্য, ‘এই চরিত্রে ঢোকার ক্ষেত্রেও স্ট্রাগল ছিল না। যুদ্ধ করে তো চরিত্রকে জয় করা যায় না। এটাকে স্ট্রাগল না বলে ভালোবাসাই বলব।’
মোশাররফ করিম বলেন, ‘আসলে আমি স্ট্রাগল করি না। স্ট্রাগল শব্দটায় বিশ্বাসও করি না। আমার পরিবার কখনো আমাকে বাজারেও পাঠাতে পারেনি। কখনো কোনো আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত দিতে যেতে হবে, তখন আমি পালিয়ে যেতাম। কারণ ওখানে যাওয়াটা আমার কাছে বৃথা পরিশ্রম মনে হতো। আমি করতাম না এসব। এজন্য বাড়ির সবাই আমাকে ‘কামচোরা’ বলত। বাকি সবাই করে, আমি করি না। অনেকেই আমাকে বলেন, আপনার ক্যারিয়ারে কোনো স্ট্রাগল আছে কি না? আমি বলি, নো স্ট্রাগল। পরিশ্রম করার লোকই আমি না। তবে হ্যাঁ, থিয়েটার করার জন্য আমি যদি ১০ মাইল হেঁটে যাই, এই হেঁটে যেতে যদি আমার আনন্দ লাগে তাহলে সেটাকে আমি স্ট্রাগল কেন বলব? সুতরাং চরিত্রে ঢোকার মধ্যে স্ট্রাগল নেই। এটাকে আমি ভালোবাসা বলব।’
অন্য কোনো পরিচয় নয়, অভিনেতা হিসেবেই বেঁচে থাকতে চান মোশাররফ করিম। তিনি জানালেন, ‘আমি অভিনেতা। তাই যত দিন বাঁচি, অভিনয় করতে চাই। আমি কাজটা করে আনন্দ পাই। আর এ আনন্দটা আমি সারা জীবন পেতে চাই। ভালো না লাগলে সেটা তো আমি করি না, করতে পারি না। মানুষ আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। মাঝেমধ্যে অনেক ভক্ত দেখা করতে আসেন। এক-দুবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। আমাকে দেখে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল তারা। আমি মানুষের এত ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য কি না তা ঠিক জানি না।’
পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবনের ঘটনাবলি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হুব্বা’। ‘হুগলির দাউদ ইব্রাহিম’ নামে পরিচিত ছিলেন এই ব্যক্তি। খুন, মারামারি, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধে তার দাপট ছিল। অসংখ্য মামলার এই আসামি একপর্যায়ে নির্বাচনেও দাঁড়ান! বৈচিত্র্যে ভরা সেই চরিত্রেই মোশাররফ করিম কাজ করলেন।
এই ছবিতে পুলিশের ভূমিকায় আছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এ ছাড়া আছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার প্রমুখ। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনস।
ঢালিউড
পুলিশকে ফুল-চকলেট দিয়ে বরণ করে নিন: ফারুকী
গেল ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার থানাগুলো পুলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছে। হামলা, অপরাধ, সহিংসতার পরিমাণও বেড়েছে। এমন অবস্থায় সকল পুলিশ সদস্যদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদস্যরা যেন নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সুন্দর পরিবেশে আবারও কাজে ফিরতে পারেন, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘আশা করি আজ-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের।’
এরপর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ফারুকী লেখেন, ‘আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট? ’ কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য গোটা পুলিশ ইউনিট দোষী হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য! ‘
এই নির্মাতা আরও উল্লেখ করেন, ‘তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- আর কখনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়!’
সবশেষ পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, ‘ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’
সরকার পতনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
এসআই/
ঢালিউড
এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার বণিক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির এমডির দায়িত্বে থাকা নুজহাত ইয়াসমিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পনির্দেশক ও বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
সাবেক এমডির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ ছিল। তাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে নানা সময় বিএফডিসির কর্মচারীরা ও সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠন আন্দোলনও করেছিল। তবে কোনো কারণেই সরানো যাচ্ছিল না তাকে। এবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব থেকে তাকে বিদায় করা হলো।
দিলীপ কুমার বণিক ৭ আগস্ট বিএফডিসি কার্যালয়ে যোগদান করেছেন বলেও জানান বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
এসআই/
ঢালিউড
হঠাৎ অসুস্থ পরীমনি, নিজেই গেলেন হাসপাতালে!
হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালেও যান। জানা গেছে, ভার্টিগোর সমস্যায় ভুগছেন অভিনেত্রী। ফেসবুকে হাসপাতালের সামনে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে এই তথ্য জানিয়েছেন পরী নিজেই।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চোখে রোদচশমা, মাস্কে মুখ ঢেকে হাসপাতালের সামনে সেলফি তুলছেন পরীমনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর কত কিছু আমাকে ছেড়ে চলে যায়। শুধু রয়ে গেল আমার এই ভার্টিগো আর এই হাসপাতাল!’ লেখার সঙ্গে শান্ত মুখের একটি ইমোজিও জুড়েছেন। পরীমনির ক্যাপশন থেকেই স্পষ্ট বহুদিন ধরেই ভার্টিগো সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
তবে ক্যাপশনের শেষে ইঙ্গিত কাদের দিকে বা কার দিকে সেটা স্পর্শ করেননি তিনি। এদিকে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বেশ সরব ছিলেন এই চিত্রনায়িকা। পোস্ট দিয়েছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে পরীমনি অভিনীত টলিউড ছবি ‘ফেলুবকশি’। যেখানে তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে।
এসআই/