রাজশাহী
বাবার দেয়া বসতভিটা থেকে বোনকে উচ্ছেদ করলো ভাইয়েরা
৪০ বছর ধরে বসবাস করা বাবার দেয়া বসতভিটা থেকে বোনকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মানিকৈর গ্রামের হাসিনা বেগম পিতা মৃত: সোবহান প্রামানিক আপন ভাইদের বিরুদ্ধে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে দেয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমি একজন ভূমিহীন, থাকার আশ্রয়স্থল না থাকায় আমার বাবা জীবিত থাকতে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করার জন্য একটি বসতভিটা করে দেন। এখানে ৪০ বছর ধরে বসবাস করতাম আমরা। বাবা মারা যায় ৭ বছর আগে কিন্তু জমির ভাগ বাটোয়ারা না করে দিয়ে বাবা মারা যাওয়ার পরে আমার পাঁচ ভাই রওশন, বারু, বাবলু, আইজাল, আফাল ও আমার ভাতিজারা মিলে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। হঠাৎ করে গত আড়াই মাস আগে গোপনে জমির জাল দলিল করে বসতভিটা থেকে চলে যাওয়ার জন্য আমার ছেলে ও নাতিকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর আমরা বাধ্য হয়ে গত আড়াই মাস হল বসতভিটা ছেড়ে বোনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাসিনা বেগমের ছেলে ইসরাইল হোসেন আরও অভিযোগ করে জানান, আমরা ভূমিহীন আমাদের থাকার কোন জায়গা নেই। নানা বেঁচে থাকতে, চল্লিশ বছর আগে আমার মাকে বসতিভটা করে দেন। সেখানে আমার মা ও আমার সন্তানসহ দীর্ঘদিন বসবাস করতাম। কিন্তু আমাদেরকে জমির ভাগ বাটোয়ারা বুঝিয়ে না দিয়ে, আড়াই মাস হল আমার মামারা গোপনে জাল দলিল করে ও আমার আইডি কার্ড জালিয়াতি করে বানিয়ে নেয়। এরপর মামা ও মামাতো ভাইদের নিয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ও আমাদেরকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করে। এমনকি গত দুই দিন আগে আমাদের ঘরের বেড়া খুলে নিয়ে যায়। এভাবে আমাদের ঘর তাদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এখন আমরা খালার বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কে আমরা জানিয়েছি। এ বিষয়ে পাবনা কোর্টে আমরা মামলা করেছি। সেই মামলা চলমান রয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে বাবলু প্রামানিক নামে এক ভাইকে বাড়িতে পাওয়া যায়, তিনি অভিযোগের বিষয় শুনে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আমাকে জানিয়েছে, আমি বলেছি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে এবং আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা প্রয়োজন আমি করব।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ