লাইফস্টাইল
বিমান যাত্রায় যে ১০টি প্রশ্ন বিমানবালাকে করতে নেই
যারা নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করেন, তারা জানেন বিমানবালারা বেশ আন্তরিকতার সঙ্গেই যাত্রীদের সেবা প্রদান করে থাকেন। দীর্ঘ যাত্রায় পানি, খাবার, কম্বল দেয়া থেকে শুরু করে ডিপারচার কার্ড বা প্রস্থানের ফরম বিলি কিংবা প্রাথমিক চিকিৎসা—সবকিছুতেই তারা চেষ্টা করেন যেন যাত্রীসেবায় কোনো ত্রুটি না থাকে। তবে যারা নিয়মিত বিমানে চড়েন না, তারা হয়তো না বুঝেই অনেক প্রশ্ন করে ফেলেন। এতে বিমানবালারা বিরক্ত হতে পারেন, আবার বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন আপনিও।
তাই বিমানবালাদের কী প্রশ্ন করবেন আর কী করবেন না, তার একটি তালিকা পাওয়া গেছে বিমানযাত্রাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোর্ডিং এরিয়া ডটকমে। বিমানযাত্রার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক :
বাথরুম
আমি কি ফার্স্ট ক্লাসের বাথরুম ব্যবহার করতে পারি? এ প্রশ্ন করে থাকেন অনেকেই। তারা হয়তো জানেন না, ফার্স্ট ক্লাসের বাথরুম শুধু যারা ফার্স্ট ক্লাসের জন্য টিকেট কেটেছেন, তাদের জন্যই বরাদ্দ। এ ধরনের প্রশ্ন করেও নিজের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেয়া হয় আর বিমানবালাদেরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়।
সিনেমা
সিনেমা শুরু হচ্ছে না কেন? ওয়াই-ফাই নেই? বিমানে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনের মনিটরে সিনেমা দেখার সুযোগ নেই। কারণ, সেখানে উড্ডয়ন-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার পর আপনি সিনেমা দেখতে পারবেন বা গান শুনতে পারবেন। আর এতে সময় লাগে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তাই বিমানে উঠেই জিজ্ঞেস করবেন না, সিনেমা দেখানো হচ্ছে না কেন? শুরুর সময়টাতে ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনীয় নির্দে’শনা শেষ হলে সামনের মনিটর আপনার নি’য়ন্ত্রণে চলে আসবে। তখন আপনি পছন্দমতো ছবি বা গান শুনতে পারবেন।
ওয়াইফাই
আর হ্যাঁ, বিমান পুরোপুরি আকাশে ওঠার আগে ওয়াই-ফাই সেবা পাওয়া যায় না। কাজেই বিমানে উঠেই ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। ধৈর্য ধরুন, কর্তৃপক্ষই বলে দেবে কখন আপনি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া সব বিমানে ওয়াই-ফাই সেবা নাও থাকতে পারে। যদি থাকে সেটা বিমান ক’র্তৃপক্ষই আপনাকে বলে দেবে।
কানেক্টিং ফ্লাইটটা আটকে রাখতে পারবেন? গন্তব্যে পৌঁছাতে বিমান পরিবর্তন করে অন্য যে বিমানে উঠতে হয়, তাকেই কানেক্টিং ফ্লাইট বলা হয়। আপনি যে বিমানে আছেন, সেই বিমানের বিমানবালার সঙ্গে আপনার কানেক্টিং বিমানের কোনো যোগাযোগ থাকে না। তারপরও আপনি যদি বর্তমান বিমানের বিমানবালাকে প্রশ্ন করেন, কানেক্টিং ফ্লাইটটা একটু দেরি করতে পারবে কি না, তাহলে সেটা ঠিক হবে না। কারণ, এই বিষয়টি বিমানবালার হাতে নেই। বরং ট্রানজিট বিমানবন্দরে নেমে যথাযথ ক’র্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সুরাহা আপনাকেই করতে হবে।
বকশিশ
এটা (বকশিশ) রাখুন! রেস্তোরায় খাওয়ার পর মোটা অঙ্কের বকশিশ দেয়ার অভ্যাস আপনার আছে। সে জন্য মনে মনে বেশ গর্ব বোধ করেন আপনি। তাই বলে বিমান অবতরণের পর বিমানবালাকে ডেকে তার হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলবেন না, ‘এটা রাখু’ন। কিছু কিনে খাবেন!’ প্রথমত, বিমানের নীতিমালার ঘোরবিরোধী এটি। দ্বিতীয়ত, বিমানবালাদের জন্য এটি অপমানজনক। তাই যদি তাদের সেবা বা ব্যবহারে আপনি মুগ্ধ হয়ে থাকেন, হাসিমুখে একটা ধন্যবাদ দিন, সেটাই যথেষ্ট।
ফাঁকা সিট
আমি কি বিজনেস ক্লাসের খালি আসনে বসতে পারি? বাসে এ রকম হরহামেশাই করে এসেছেন। সামনের দিকের সিট খালি থাকলে পেছনের সিট ছেড়ে সামনে চলে এসেছেন। এটা আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই না। এ জিনিসই চেষ্টা ক’রতে গেলেন বিমানে। দেখলেন, বিজনেস ক্লাসের সিটগুলো খালিই প’ড়ে আছে। গিয়ে বসে পড়লেই হয়। কিন্তু বিজনেস ক্লাসে বসতে হলে আপনাকে বিজনেস ক্লাসের টিকেট করতে হবে আগে। সেটা যদি না করে থাকেন, তাহলে ইকোনমি ক্লাসেই নিজের মতো স্বচ্ছন্দ হয়ে নিন।
ব্যাগ রাখার অনুরোধ
ব্যাগটা ওপরে রেখে দেবেন? কষ্ট ক’রতে ইচ্ছে করছে না, ডাকলেন একজন বিমানবালাকে। বললেন, ব্যাগটা একটু ওপরে উঠিয়ে রাখুন। এটা কিন্তু তাদের কাজে’র মধ্যে পড়ে না। নিজের ব্যাগ নিজেই উঠিয়ে রাখুন এবং চাইলে সহযাত্রীকে সহযোগিতা করতে পারেন; কিন্তু বিমানবালাদের এ ধরনের অনুরোধ করবেন না।
ওষুধ
ওষুধ আছে কি? যাত্রীদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সামাল দেয়ার জন্য ফ্লাইটেই চিকিৎসক থাকেন। যদি অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে সেটা বিমানবালাদের জানাতে পারেন; সাহায্য চাইতে পারেন। কিন্তু নিজেই ডাক্তারি ফলিয়ে তাদের কাছে ওষুধ চাইবেন না। কারণ, তাদের ওষুধ দেয়ার এখতিয়ার নেই এবং দ্বিতীয়ত, সেটা তাদের কাজও নয়।
সিট পরিবর্তন
আমার সিটটি কি বদলাতে পারি? অনেকেই একই ফ্লাইটে ব’ন্ধুবান্ধব বা পরিচিতি কারো দেখা পেয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একসঙ্গে পাশাপাশি সিটে বসে যাওয়ার ইচ্ছা জাগতেই পারে। সেক্ষেত্রে কখনোই বিমানবালাদের অনুরোধ করবেন না, সিট বদলে দেয়ার জন্য। বড়জোর আপনি নিজে সেটা বিনীতভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার অনুরোধে যদি কোনো যাত্রী নিজে’র সিট পরিবর্তন করে আপনার পরিচিত বা বন্ধুর সঙ্গে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে রাজি থাকেন, তাহলেই কেবল আপনার আশা পূরণ হবে।
এখন কোথায়
আমরা এখন কোথায় আছি? দুম করে জিজ্ঞেস করে বসবেন না, বিমান এখন কোথায় আছে বা কোন জায়গার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে? কারণ, আকাশে কোনো সাইনবোর্ড দেয়া থাকে না, যা দেখে বিমানবালা আপনার প্রশ্নের জবাব দেবেন। ধরে অপেক্ষা করুন, কারণ কাছাকাছি এলে সেটা ক্যাপ্টেন জানিয়ে দেবেন। সামনের মনিটরেও সেটা আপনি দেখতে পারবেন, যদি মনিটরের চ্যানেল পরিবর্তন করেন।
কলম চাওয়া
কলম আছে? এটি খুবই সাধারণ একটি প্রশ্ন মনে হতে পারে আপনার। এটা কিন্তু বেশ বিরক্তিকর একটা ব্যাপার বিমানবালাদের জন্য। তারা প্রায়ই এ ধরনের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। কারণ, অনেকেই তাদের কাছে কলম ধার চান। কলম সঙ্গে নিয়ে ঘোরাটা তাদের কাজ নয়। তাই এ ধরনের প্রশ্ন করবেন না।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ