বাংলাদেশ
বলিউডের তারকা মা-মেয়েদের গল্প
বলিউড জগৎ রঙিন জগৎ! এই জগতের এমন কিছু তারকা মা আছেন, যারা নিজেদের মেয়েদের গড়েছেন আপন গড়িমায় সোনালি আলোয়। মায়ের দেখানো পথ ধরেই সেই কন্যারা চলছে আজ সাফল্যের পথে। জায়গা করে নিয়েছেন বলিউড পারায়।
এই মা মেয়ের তালিকায় প্রথমেই যার নাম আসে তিনি হলেন, এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়িকা শর্মিলী ঠাকুর। বংশগতভাবে তিনি ঠাকুর পরিবারের বংশধর। শর্মিলা বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পাতৌদির স্ত্রী। এই গুণী নায়িকার কন্যা বলিউডের নতুন প্রজন্মের নায়িকা সোহা আলী খান। তারই ছেলে বলিউড সুপারস্টার সাইফ আলী খান। মা শর্মিলী ঠাকুর আর মেয়ে সোহার মধ্যে অনেককিছুতে বেশ মিল পাওয়া যায়।
এই যেমন, তাদের দুজনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে বাংলা সিনেমা করে। আবার দুজনই সাহসী পোষাক পরায় বলিউডে চর্চার শীর্ষে ছিলেন এক সময়।
এরপরই অবস্থান তনুজা ও কাজল-তানিশার। এক সময়ের ব্যস্ত নায়িকা ছিলেন তনুজা। স্বপ্ন দেখতেন একদিন ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রির টপ পজিশনে থাকবেন। বলিউড জগতে অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিলেও ইন্ড্রাস্ট্রির টপে যেতে পারেন নি তিনি।আর তাই মায়ের এই স্বপ্ন পূরণ করেছেন মেয়ে বলিউড সুপারস্টার কাজল। যদিও তার বোন তানিশা কাজলের দেখানো পথে হাঁটতে পারেননি বেশিদিন।
বলিউডের আরো দুই অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর ও কারিনা কাপুর। তাদের মা ববিতা কাপুর। নিজের ক্যারিয়ার ফিল্মে ঝকঝকে না করতে পারলেও মেয়েদের ক্যারিয়ার গড়তে তার ত্রুটি ছিলো না। মা ববিতার অক্লান্ত পরিশ্রমই তার মেয়ে কারিশমা ও কারিনার সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিতে সক্ষম হয়েছে।
স্বামী রনথির কাপুরের সঙ্গে আলাদা থাকার পর থেকেই ববিতা ঠিক করেছিলেন দুই মেয়েকে একেবারে নিজের মনের মতো করেই মানুষ করবেন। বাবা রনথির কাপুর বা কাপুর পরিবারের কারো ছায়া পড়তে দিবেন না দুই মেয়ের জীবনে। মেয়েদের ওপর বরাবরই নজর রেখেছেন। তাই তো এখনো দুই বোন কারিশমা-কারিনা এতোটা মা অন্তপ্রাণ।
বলিউডের এক সময়ের ড্রিম গার্ল খ্যাত হেমা মালিনী। তার মেয়ে এশা দেওয়াল। হেমা মালিনী বরাবরই চেয়েছিলো যে মেয়ে এশা তার ফিল্ম ক্যারিয়ারে এগিয়ে থাকবেন। কিন্তু মেয়ে মায়ের সে আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বরাবরই। মা যেমন বলিউডে সবার উপরে ছিলেন, মেয়ে তার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলা চলে।
হেমা মালিনী অনেক কিছুতেই বাড়াবাড়ি না করলেও মেয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেই দিয়েছেন ।
একসময় বলিপাড়ায় দাপিয়ে অভিনয় করেছেন ডিম্পল কাপাডিয়া। সুপারস্টার রাজেশ খান্নার স্ত্রী এই অভিত্রেী। স্বামী থেকে ১৯৮২ সাল থেকে আলাদা থাকলেও মেয়েদের বুকে আগলিয়ে রেখে বড় করেছেন তিনি। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান- টুইঙ্কল এবং রিঙ্কি খান্না। দুই মেয়েকেই বলিউড ফিল্মে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন ছিলো তার। বড় মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না মায়ের স্বপ্নের পথ ধরে কিছুদূর এলেও অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করে অভিনয় থেকে পুরোপুরি সরে যান। আর ছোট মেয়ে রিঙ্কী খান্না বলিউডে নাম লেখাতে না লেখাতেই হারিয়ে যান।
মার্দ’, ‘বেতাব’, ‘আয়না’, ‘নাম’ ও ‘টু স্টেট’র মতো ব্যবসায় সফল ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী অমৃতা সিং। তবে এখন খুব একটা রূপালি পর্দায় পাওয়া যায় না তাকে। অভিনেতা সাইফ আলি খানের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন এ অভিনেত্রী। অমৃতার মেয়ে সারা এখন মায়ের মতোই অভিনয় জগতে পা রেখেছেন। এরই মধ্যে ‘কেদানাথ’ নামে একটি ছবিতে কাজ করেছেন সারা। এছাড়া করণ জোহর প্রযোজিত ও রোহিত শেঠি পরিচালিত ‘সিম্বা’র কাজ শুরু করেন তিনি।
‘মিষ্টি হাসি ও পাগল করা চোখের চাহনি মা-মেয়ে দু’জনের মধ্যেই। মা অপর্ণা সেন পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার আগে কলকাতার একজন নামী অভিনেত্রী ছিলেন। অন্যদিকে মেয়ে কঙ্কনা সেন বলিউডে নিজের যোগ্যতা দেখিয়েছেন বহুবার। চ্যালেঞ্জিং যে কোনো চরিত্রে তিনি মানিয়ে যান। মা মেয়ে দু’জনই সমানতালে জনপ্রিয়তা কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন ভক্তদের কাছ থেকে।
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবী। ৩০০’র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলেন যান ‘চাঁদনি’। প্রয়াত এই অভিনেত্রীর মতো অভিনয় জগতে নাম লিখিয়েছেন তার মেয়ে জানভি কাপুর। শ্রীদেবীকন্যা অভিনীয় করেছেন বেশ কয়েকটি সিনেমাতেও।
এতে বলাই যায় বলিউডের সুন্দরী ও প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী মায়েদের কন্যারা অন্যদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছেন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে। মেয়েদের কেউ কেউ হয়তো এরই মধ্যে নিজেদের নিয়ে গিয়েছেন মায়ের সমপর্যায়ে। অনেকে আবার মায়ের যশ ও খ্যাতীকে ছাড়িয়ে যাবেন। বলিউডের এই মেয়েরা বরাবরই তাদের মায়েদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা গর্ববোধ করেন এমন মায়ের সন্তান হয়ে।
তাসনিয়া রহমান
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ