রূপচর্চা
যে পানীয় পান করলেই মিলবে দাগহীন ঝকঝকে ত্বক
জিরার উপাকরিতার কোনও সীমা নেই। জিরার পানি খেলে সৌন্দর্য বাড়ে। রোজ সকালে খালি পেটে জিরার পানি খেলে মিলবে অপরিসীম উপকার।
ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে জিরা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ব্রণ নিরাময়ে ব্যপকভাবে কার্যকর। ত্বক পরিষ্কার করতে অত্যন্ত সাহায্য করে জিরার পানি। চোখের তলার কালি দূর করতে সহায়তা করে। তাই রোজ সকালে জিরার পানি খান।
ত্বক মশ্চারাইজ করতে অত্যন্ত সাহায্য করে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সকালে উঠে জিরার পানি খেতে হবে। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে অত্যন্ত সাহায্য করে জিরার পানি। নিয়মিত জিরার পানি খেলে বার্ধক্য রোধ করা যায়। রিঙ্কেল ফ্রি ত্বক পেতে সাহায্য করে জিরার পানি। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে জিরার পানি। চুল ঝরে পড়ার সমস্যা মেটাতেও সাহায্য করে জিরার
রূপচর্চা
লিপস্টিকের ৭টি ব্যবহার বাড়িয়ে তুলবে আপনার সৌন্দর্য
যদি প্রশ্ন করা হয়, কোন প্রসাধনী টি ব্যতীত আপনি অসম্পূর্ণ? আপনি বলবেন লিপস্টিক! জানি, বহু মেয়েরও এই একই উত্তর হবে। প্রায় সবারই পছন্দের প্রসাধনী এই লিপস্টিক। বিভিন্ন রঙ এবং বিভিন্ন ধরণের লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙাতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু জানেন কি, এই লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁটের সাজ ছাড়া আরও অনেক কাজ করা যায়! এই আর্টিকেলে আপনাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে লিপস্টিকের ৭টি ব্যবহার যা বাড়িয়ে তুলবে আপনার সৌন্দর্য।
লিপস্টিকের ৭টি ব্যবহার
১. ফেইসের দাগ ছোপ লুকানোর জন্যে মেকআপে কালার কারেক্টর বহুল প্রচলিত। কিন্তু আপনার কাছে এই কালার কারেক্টর নেই। কোনো ব্যাপার না! লিপস্টিক তো আছে। আপনি যদি ফর্সা হয়ে থাকেন তাহলে কালার কারেক্টর হিসেবে ব্যবহার করুন পিচ/কোরাল কালারের লিপস্টিক। আর গায়ের রঙ শ্যামলা/চাপা হলে ব্যবহার করুন অরেঞ্জ কালারের লিপস্টিক। দাগের উপরে লিপস্টিক লাগিয়ে আংগুল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর ফাউন্ডেশন বা কনসিলার লাগিয়ে নিন।
২. হেভি বা গর্জিয়াস মেকআপে ক্রিম কন্ট্যুরিং করে নিলে মেকআপ দেখতে সুন্দর লাগে এবং কন্ট্যুরিং ভালোভাবে ফুটে ওঠে। কিন্তু ক্রিম কন্ট্যুরিং এর জন্যে ডার্ক কালারের কনসিলার না থাকলে, আপনার ডার্ক ব্রাউন কালারের লিপস্টিকটাই ব্যবহার করুন। কন্টুরিং এরিয়াগুলোতে ডার্ক ব্রাউন লিপস্টিকটি লাগিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।
৩. ন্যাচারাল এবং সুন্দর পিংকিশ আভাযুক্ত গাল সবারই পছন্দ। তাই চাইলে কিন্তু আপনার পছন্দের পিংক কালারের লিপস্টিকটি ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম ব্লাশ হিসেবে। একটু লিপস্টিক আঙুলে নিয়ে আপনার গালে লাগিয়ে নিন। এবার আঙুল অথবা বিউটি স্পঞ্জের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন।
৪. লিপস্টিককে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিম আইশ্যাডো হিসেবে। এক্ষেত্রে লিকুইড লিপস্টিক ভালো কাজে দিবে এবং লং লাস্টিং হবে। পছন্দের কালারের লিকুইড লিপস্টিক নিয়ে চোখের লিডে লাগিয়ে নিন এবং সাথে সাথে ব্লেন্ডিং ব্রাশের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন। ম্যাট বা মেটালিক যেকোনো ধরনের লিপস্টিকই ভালো কাজে দেবে এবং দেখতেও সুন্দর লাগবে।
৫. অনেক সময় আইশ্যাডো কালার ভালোভাবে ফুটে ওঠার জন্যে আমরা বিভিন্ন কালারের আইশ্যাডো বেইজ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সবসময় সব ধরনের কালারের আইশ্যাডো বেইজ থাকে না আমাদের কাছে। তখন লিপস্টিক হতে পারে আপনার বন্ধু। লিপস্টিক নিয়ে চোখে লাগিয়ে নিন এবং হালকা ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এর উপরে মেইন আইশ্যাডোটি লাগান।
৬. আইব্রো আঁকার জন্যে আইব্রো পেন্সিল/পাউডার ফুরিয়ে গেছে? আর কেনাও হয় নি? সিম্পলি একটা ডার্ক ব্রাউন লিকুইড লিপস্টিক নিন এবং এঞ্জেলড ব্রাশের সাহায্যে ছোট ছোট স্ট্রোকের সাহায্যে আইব্রো এঁকে নিন।
৭. কালারফুল আইলাইনার তো এখন একটা ট্রেন্ড। কিন্তু কালারফুল আইলাইনার নেই? অথবা কিনব কিনব করে আর কেনা হয়ে ওঠে নি? তাতে কি? ব্যবহার করুন লিকুইড লিপস্টিক। যে কালারের লাইনার চান ওই কালারের লিকুইড লিপস্টিক নিয়ে এঞ্জেলড ব্রাশের সাহায্যে চোখে লাইনিং করে নিন।
জেএইচ
রূপচর্চা
ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুক ক্রিয়েট করবেন যেভাবে
বিয়ে কিংবা রিসেপশনের প্রোগ্রামগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই আমরা চাই নিজেকে একটু গ্ল্যামারাসভাবে প্রেজেন্ট করতে। তবে অনেকেই মনে করেন, বিউটি স্যালুনে বা পার্লারে না গেলে পারফেক্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা যায় না। তবে রাইট প্রসেস জানা থাকলে ঘরে বসেই ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা যায়। চলুন দেখে নেয়া যাক।
ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুক কেমন হওয়া উচিত
কয়েক বছর আগে ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ হিসেবে হেভি গ্ল্যামারাস লুককেই প্রাধান্য দেয়া হতো। কয়েক লেয়ার ফাউন্ডেশনের হেভি বেইজ মেকআপ, কাটক্রিজ আইলুক, থিক উইং লাইনার, ভারি আইল্যাশ, ডার্ক লিপস্টিক- এগুলোই ছিলো সবার চয়েজ। তবে এখন কিন্তু মেকআপ ট্রেন্ডে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে হেভি মেকআপের বদলে জায়গা করে নিয়েছে “সিম্পলের মধ্যে গর্জিয়াস” – অর্থাৎ সফট গ্ল্যাম লুক। এখন আমরা এমন মেকআপ লুক প্রেফার করি, যেটার মাধ্যমে ফেইসের বেস্ট ফিচারগুলো হাইলাইট যায়, ন্যাচারাল দেখায়।
ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক
অনেকেই কমপ্লেইন করেন, মেকআপ করলে নাকি দেখতে ফ্ললেস লাগে না। আসলে আপনার মেকআপ লুক পারফেক্ট হবে কিনা সেটা দু’টো বিষয়ের উপর ডিপেন্ড করে। প্রথমটি হলো মেকআপের আগে সঠিকভাবে স্কিন প্রেপ করা হয়েছে কিনা, আর দ্বিতীয়টি হলো আপনি সঠিক মেকআপ স্টেপস ফলো করেছেন কিনা।
মেকআপের আগে স্কিন প্রিপেয়ার করবেন যেভাবে
মেকআপ প্রোডাক্টস স্কিনে প্রোপারলি ব্লেন্ড করতে এবং একইসঙ্গে মেকআপ লং লাস্টিং করে তুলতে মেকআপের আগে একটু স্কিনকেয়ার করতেই হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ফেইস ওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ফেইস ক্লিন করে স্কিনটাইপ বুঝে যেকোনো একটি শিট মাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এতে লং টাইম স্কিন নারিশড থাকবে এবং মেকআপ প্রোডাক্টস ব্লেন্ড করতে স্ট্রাগল করতে হবে না। আর যদি হাতের কাছে শিট মাস্ক না থাকে, তাহলে পাতলা কাপড়ে আইস কিউব নিয়ে ফেইসে রাব করে নিন। তারপর নিজের পছন্দের ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন।
চলুন এবার মেকআপের স্টেপগুলো জেনে নেয়া যাক
বেইজ মেকআপ
১. বেইজ মেকআপের জন্য শুরুতেই পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার অ্যাপ্লাই করুন, এতে বেইজ মেকআপ বেশ স্মুথ হবে।
২. কালার কারেক্টিং কনসিলার ব্যবহার করে ফেইসের ডিসকালারেশন ইভেন আউট করে নিন। কালার কারেক্টিং কনসিলার ইউজ করলে খুব বেশি ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করতে হয় না, এতে বেইজ মেকআপ অনেক লাইটওয়েট হয়।
৩. নিজের স্কিন শেইডের ফাউন্ডেশন ও কনসিলার অ্যাপ্লাই করে ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জ অথবা ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। জেনে রাখা ভালো, ব্রাশের সাহায্যে ব্লেন্ড করলে প্রোডাক্টের কভারেজ কিছুটা বেশি পাওয়া যায়। এবার একটি ছোট্ট টিপস দেই। ফাউন্ডেশন ইউজ করার করার আগে পুরো ফেইসে ভালোভাবে সেটিং স্প্রে অ্যাপ্লাই করে নিলে বেইজ মেকআপ অনেকটা লং লাস্টিং হয়।
৪. নিজের স্কিনটোনের চেয়ে এক শেইড ব্রাইট কনসিলার পিক করুন এবং সেটা চোখের নিচে অ্যাপ্লাই করুন৷
৫. ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুকের জন্য ক্রিম কনট্যুর বেশ ভালো অপশন। তাই ফেইসকে একটু ডিফাইনড করতে ক্রিম কনট্যুর ইউজ করতে পারেন।
৬. এবার ট্রান্সলুসেন্ট বা বানানা পাউডার দিয়ে ভালোমতো সেট করে নিন। এক্ষেত্রে পাউডারের সাথে থাকা পাফের বদলে যদি ড্যাম্প বিউটি স্পঞ্জের সাহায্যে পাউডার অ্যাপ্লাই করেন, তাহলে মেকআপ বেকিং ইজিলি করা যায়।
৭. তারপর ফেইসে একটু ভাইব্রেন্ট টাচ আনতে নিজের ফেভারিট ব্লাশ ইউজ করুন। পিচ, পিংক, মভ, কোরাল যেকোনো কালার চুজ করতে পারেন, তবে সেটি যেন আপনার স্কিনটোনকে কমপ্লিমেন্ট করে।
৮. গ্লো ছাড়া কি ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক কমপ্লিট হয়? একদমই না! তাই ফ্যান ব্রাশের সাহায্যে ফেইসের হাই পয়েন্টগুলোতে শ্যাম্পেইন বা গোল্ডেন টোনের হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করুন। তবে খুব হেভি হ্যান্ডেড হওয়া যাবে না, বরং আস্তে আস্তে অ্যাপ্লাই করুন, তাতে করে আপনার ফেইস ন্যাচারালি গ্লোয়িং মনে হবে।
আই মেকআপ
ওয়েডিং গেস্টদের আই মেকআপ হিসেবে গ্লিটারি আইলুক এখন বেশ ট্রেন্ডি। দিন ও রাত দু’সময়েই এই আইলুক পারফেক্টলি মানিয়ে যায়। গ্লিটারি আইলুক ক্রিয়েট করা কিন্তু খুবই সিম্পল। চলুন কীভাবে এই আইলুক ক্রিয়েট করা যেতে পারে তা জেনে নেওয়া যাক-
১. প্রথমে আইলিডে কনসিলার অ্যাপ্লাই করে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন এবং পাউডারের সাহায্যে সেট করে নিন।
২. একটি ফ্লাফি ব্লেন্ডিং ব্রাশে আপনার আউটফিটের কালারের সঙ্গে কমপ্লিমেন্ট করে এমন হালকা কালারের আইশ্যাডো নিয়ে পুরো আইলিডে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন, যেন কোনো হার্শ লাইন না থাকে।
৩. এবার চোখের পুরো ক্রিজ এরিয়াতে লিকুইড গ্লিটার অ্যাপ্লাই করুন। লিকুইড গ্লিটার ইউজ করার সুবিধা হচ্ছে এটা ইউজ করা খুবই ইজি এবং খুব অল্প এফোর্টেই গর্জিয়াস আইলুক ক্রিয়েট করা যায়। তবে লিকুইড গ্লিটার অ্যাপ্লাই করার পর তা ড্রাই হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, তা না হলে গ্লিটার স্ম্যাজ হয়ে যেতে পারে।
৪. এরপর একটি চিকন ব্রাশে আইলিডে যে কালারের শ্যাডো অ্যাপ্লাই করেছেন তারচেয়ে একটু ডার্ক কালারের শ্যাডো নিন এবং চোখের কর্নারের দিকে অ্যাপ্লাই করুন। এই ছোট্ট স্টেপ ফলো করলে চোখ দেখতে অনেক বেশি ডিফাইনড মনে হবে।
৫. তারপর আইলাইনার দেয়ার পালা। আমার পার্সোনালি গ্লিটারি আইলুকের সাথে থিন উইংড লাইনার খুবই পছন্দ। তবে আপনারা চাইলে একটু মোটা করেও আইলাইনার দিতে পারেন, বিশেষ করে রাতের দাওয়াতে।
৬. ফলস মিংক আইল্যাশ ওয়েডিং গেস্ট মেকআপ লুককে খুব ভালো কমপ্লিমেন্ট করে। ফেইক আইল্যাশ সিলেক্ট করার সময় আপনার আইশেইপ বুঝে সিলেক্ট করুন।
৭. চোখের লোয়ার ল্যাশ লাইনে চাইলে কাজল দিতে পারেন, আবার চাইলে নিচে যেকোনো ডার্ক কালারের আইশ্যাডোও ব্লেন্ড করে দিতে পারেন। ও হ্যাঁ, চোখের নিচের পাঁপড়িতে মাশকারা ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
লিপস
এবার লিপস্টিক অ্যাপ্লাইয়ের পালা। আমি সবসময় সাজেস্ট করি আগে লিপলাইনারের সাহায্যে ঠোঁটের শেইপ ড্র করে নেওয়ার, এতে খুব সুন্দরভাবে লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করা পসিবল হয় এবং বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়া করলেও লিপস্টিক ছড়িয়ে যায় না। লিপলাইনার দেয়া হয়ে গেলে নিজের পছন্দের ক্রিম বা লিকুইড ফর্মুলার লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করুন।
সবশেষে পুরো ফেইসে আরো একবার সেটিং স্প্রে দিয়ে ফুল মেকআপ কমপ্লিট করুন। এভাবেই আপনারা নিজেই ওয়েডিং গেস্ট গ্ল্যাম মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে পারেন।
কেএস/
রূপচর্চা
মেকআপের পর মুখ কালচে দেখালে যা করবেন
মুখে যেটাই ব্যবহার করছেন, ঘণ্টাখানেক পর কালচে দেখাচ্ছে। ফাউন্ডেশনটা অক্সিডাইজড হয়ে যায়। ফলে স্কিন কালচে দেখায়। আমরা কি জানি, অক্সিডাইজেশনটা আসলে কী? একটা আপেল কেটে রাখলে যেমন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে সেটা কালচে হয়ে যায়, স্কিনের উপর ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেও তাই হয়। এই অক্সিডাইজেশনের জন্য কিন্তু কোন একটা স্পেসিফিক কারণকে শনাক্ত করা সম্ভব না। স্কিনের ন্যাচারাল অয়েলের সাথে ফাউন্ডেশনের অয়েল এবং পিগমেন্ট কিভাবে রিঅ্যাক্ট করছে, স্কিনের উপরের লেয়ারের পিএইচ লেভেল (pH Level), বাতাসের আর্দ্রতা, সূর্যের প্রখরতা- অনেক কারণেই এটা সাধারণত হয়ে থাকে। ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ হয়ে যাচ্ছে?
১. স্কিন কেয়ারে ভুল এড়িয়ে চলুন
নিজের স্কিন টাইপ অনুযায়ী পারফেক্ট ক্লেনজার, টোনার আর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও অনেক সময় ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী ভালোমানের ক্লেনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আর সম্ভব হলে শিট মাস্ক লাগিয়ে নিন, এতে স্কিন ফ্রেশ দেখাবে, ইন্সট্যান্টলি ময়েশ্চার রিস্টোর হবে।
২. প্রাইমার ব্যবহার করা
প্রাইমার কিন্তু শুধু ত্বকের রোমকূপগুলোকে ভিজ্যুয়ালি মিনিমাইজ করতে সাহায্য করে না, সেই সঙ্গে স্কিন এবং ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটা লেয়ার তৈরিতেও সহায়তা করে, ফলে সেটা ফাউন্ডেশন আর স্কিনের ন্যাচারাল অয়েলের সঙ্গে রিঅ্যাকশনকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। স্কিন ড্রাই হলে হাইড্রেটিং প্রাইমার, অয়েলি হলে ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ব্যবহার করুন। আর যদি কম্বিনেশন হয় অর্থাৎ পুরো মুখ ড্রাই বা নরমাল এবং টি-জোন আর অন্য সামান্য অংশ অয়েলি সেক্ষেত্রে অবশ্যই শুষ্ক স্থানের জন্য হাইড্রেটিং প্রাইমার এবং তৈলাক্ত স্থানের জন্য ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ব্যবহার করুন। দেখে নিবেন প্রাইমারটি সিলিকোন বেইজড ফর্মুলায় তৈরি কিনা। সিলিকোন বেইজড ফর্মুলায় তৈরি প্রাইমার অক্সিডেশন প্রসেসে বাধা প্রদানে সহায়তা করে।
৩. ব্র্যান্ড চেঞ্জ করা এবং নিজের আন্ডারটোন দেখে কেনা
নিজের আন্ডারটোন না বুঝে ফাউন্ডেশন কিনলেও অনেক সময় এ সমস্যা হয়। আবার কিছু ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন এমনিতেই অক্সিডাইজড হয়। কাজেই নিজের আন্ডারটোন দেখে পারফেক্ট শেইডের ফাউন্ডেশন কিনুন। সেই সঙ্গে ব্র্যান্ডটাও চেঞ্জ করে দেখতে পারেন।
৪. স্কিনকে ব্লট করা
প্রাইমার লাগানোর ৩-৫ মিনিট পর একবার একটা ভালো মানের ফেস্যিয়াল টিস্যু (দুই পরতের) থেকে একটি পাতলা লেয়ার খুলে স্কিনকে ব্লট করুন। আর ফাউন্ডেশন লাগানোর পর ব্লেন্ড করা শেষ করে আরেকটা যে পাতলা লেয়ার ছিল, ঐটা দিয়ে আরেকবার স্কিনকে ব্লট করুন। ত্বকের উপরিভাগের বাড়তি তেল দূর হবে, ফলে অক্সিডেশন প্রসেস রোধ হবে।
৫. সঠিকভাবে মেকআপ সেট করা
ট্যাল্ক বেইজড পাউডার রোমকূপগুলোকে বন্ধ করে ফেলতে পারে, এবং এগুলো স্কিনকে বেশি ড্রাই করে তুলতে পারে, ফলে স্কিন কেকি দেখাতে পারে। ভালো কভারেজ দেয়, লাইট ওয়েট ফর্মুলার কমপ্যাক্ট বা লুজ পাউডার ইউজ করুন। সেই সাথে ভালো মানের মেকআপ সেটিং স্প্রে ইউজ করাটাও জরুরি। আপনি ইনডোরে থাকেন, কিংবা আউটডোরে থাকেন, মেকআপ সেটিং স্প্রে ইউজ না করলে মেকআপটা স্মাজ হতে পারে, প্রাণবন্ত দেখাবে না।
৬. স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করা
স্কিনের স্বাভাবিক পিএইচ (pH) লেভেল কোন কারণে কম/বেশি হলেও ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজড হতে পারে। আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী অবশ্যই ভালোমানের টোনার ব্যবহার করবেন। অ্যালকোহল-সমৃদ্ধ টোনার অনেক সময় স্কিনকে ওভারড্রাই করে ফেলে। স্কিন টাইপ বুঝে টোনার ইউজ করা ভালো। ন্যাচারাল উপাদানযুক্ত টোনার স্কিনকে নারিশড ও হেলদি রাখতে হেল্প করে। চাইলে রোজ ওয়াটার স্প্রে করে নিতে পারেন।
মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী কখনোই ব্যবহার করবেন না। সবসময় হাতে সময় নিয়ে ফাউন্ডেশন কিনুন। নিজের আন্ডারটোন এবং পারফেক্ট শেইড বুঝুন। ফাউন্ডেশন ট্রাই করার জন্য সবসময় জ-লাইনের ঠিক ওপরের জায়গাটাকে বেছে নিন। দোকানে ফাউন্ডেশন ট্রাই করার পর সাথে সাথেই না কিনে একটু এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করুন, অন্যান্য প্রোডাক্ট দেখুন এবং কিনুন। ঠিক ১৫ মিনিট পর দিনের আলোয় বের হয়ে এসে দেখুন ফাউন্ডেশনটা অক্সিডাইজ করেছে কিনা, স্কিনের ন্যাচারাল কালারের মত দেখাচ্ছে কিনা। যদি সব ঠিক থাকে, তবেই সেই ফাউন্ডেশনটি কিনুন।
কেএস/