জাতীয়
ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গৌরবময় পথচলার ৪৮ বছর পেরিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ৪৯ বছরে পদার্পণ করল। ‘সেবা ও সদাচার ডিএমপি’র অঙ্গীকার’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য উদযাপিত হবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শুরু হবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকার দুই মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো. আতিকুল ইসলামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর দেড় সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চকোলেট বিতরণ করেছে ডিএমপি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আগের দিন বুধবার ডিএমপি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রাজধানীবাসীর পুলিশি নিরাপত্তায় একজন কমিশনারের অধীনে ছয়জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি), ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অতি. ডিআইজি), ৫৭ জন উপপুলিশ কমিশনারসহ (এসপি) ৩৪ হাজার অফিসার ও সদস্য রয়েছে পুলিশের বৃহৎ এ ইউনিটে।
বছরজুড়ে নগরবাসীকে বিভিন্ন সেবা দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ডিএমপির সেবাগুলো সহজীকরণ এবং দ্রুত স্মার্ট পুলিশিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে বর্তমান কমিশনারের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে ‘মেসেজ টু কমিশনার’, যেটির মাধ্যমে নাগরিকরা আইনি সেবা, পরামর্শ এবং অপরাধ বিষয়ক তথ্য প্রদানের জন্য ০১৩২০-১০১০১০ অথবা ০১৩২০-২০২০২০ নম্বরে সরাসরি বার্তা প্রদান করতে পারেন।
অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি উন্নত মেগাসিটিগুলোর আদলে আধুনিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মহানগরীর ২২১টি স্থানে ৬৮০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
পাশাপাশি সামাজিক সেবা খাতেও অবদান রাখতে ডিএমপির রয়েছে পুলিশ ব্লাড ব্যাংক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এতে গত এক বছরে নিবন্ধন করা মোট ব্লাড ডোনারের সংখ্যা ৬ হাজার ৩৬৮ জন, যার মধ্যে পুলিশ সদস্য এক হাজার ২৩২ জন এবং সাধারণ নাগরিক ৫ হাজার ১৩৬ জন।
‘শান্তি শপথে বলীয়ান’ এ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে রাজধানী ঢাকার জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে ডিএমপি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পুলিশের সর্ববৃহৎ এই ইউনিট। শুরুতে ছয় হাজার পুলিশ সদস্য এবং ১২টি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ঢাকা মহানগরীর প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ নাগরিকগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকার পুলিশের কার্যক্রম ৫০টি থানায় বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এর সুযোগ্য নেতৃত্বে ডিএমপিতে কাজ করছেন ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি), ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি), ৫৭ জন উপ-পুলিশ কমিশনারসহ (এসপি) ৩৪ হাজার অফিসার ও ফোর্স।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ