চট্টগ্রাম
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে সাজেকের সব রিসোর্ট
মেঘের রাজ্য খ্যাত রাঙ্গামাটির পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে অবকাশ যাপনে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সফর উপলক্ষে আগামী ৮-১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিন সাজেকের সব কটেজ, রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রাষ্ট্রপতির সফর সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক সফর করবেন।’
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীদের গমনাগমনের প্রশাসনিক, আবাসন ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই অফিস আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির সফরের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এরইমধ্যে রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে ওই সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, ‘সাজেকে রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকের রুম বুকিং না দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু এখন পর্যটন মৌসুম, আমরা দাবি রেখেছি, একদিন সময় কমিয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে পর্যটকরা আসলে পরদিন সকালে চলে গেলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি প্রশাসন থেকে পরে জানাবে বলেছে।’
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মন বলেন, রাষ্ট্রপতির সাজেক সফর উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি সাজেক সফর করবেন। ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি অফিসের নতুন চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। আমরাও সেইভাবে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।”
উল্লেখ্য, এর আগে, গত বছরের ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরের কথা ছিল। পরে “অনিবার্য কারণবশত” দেখিয়ে সফরটি স্থগিত করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। সাজেকে মোট ১৭১টি রিসোর্ট রয়েছে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/