জাতীয়
গ্রাহকের টাকা ফেরত দিল ইভ্যালি
নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নতুন করে ১৫০ জন গ্রাহককে মোট ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে টাকা ফেরত দেয়া হয়।
মোহাম্মদ রাসেল ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম শফিকুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নতুন করে ইভ্যালি শুরু করার পর আমাদের যে টাকা লাভ হয়েছে সে টাকা থেকেই পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ শুরু করেছি। এর মধ্যে আমরা প্রায় ৬৫ হাজারেরও বেশি পণ্য ডেলিভারি সম্পন্ন করেছি।
ইভ্যালি থেকে অনেকেই টাকা পাবে তা স্বীকার করে রাসেল বলেন, আমরা এখন যে পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি করছি এতে করে খুব দ্রুতই সকলের টাকা পরিশোধ করা হবে। যারা অভিযোগ করেছে শুধু তাদের নয়, যারা টাকা পাবেন এমন সবার টাকাই পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন বলেন, ইভ্যালির ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারে প্রায় ৭ হাজারের মতো অভিযোগ পড়েছে। এর মধ্যে আজ (রোববার) ১৫০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব গ্রাহকদের ১৫ লাখ টাকার ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এর আগে কালবেলাকে রাসেল বলেন, ‘গ্রাহককে এখন আর বিশ্বাসের ওপর টাকা দিতে হচ্ছে না। পণ্য হাতে পেয়ে টাকা দেবে। এ জন্য ইভ্যালিতে গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আমরা খুব সামান্য লাভ করছি যেন কোম্পানির খরচ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর যেসব পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে সেটা বিক্রেতা নিজের পক্ষ থেকে দিচ্ছেন। এ জন্য ইভ্যালির আর লোকসানের সুযোগ নেই।’
এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।
নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর গত ২৬ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এর মধ্যে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় রয়েছে মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, স্মার্ট টেলিভিশন, ব্লেন্ডার, বেল্ট, জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবি ও কম্পিউটার এক্সেসোরিজসহ বিভিন্ন পণ্যে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উন্মুক্ত হচ্ছে বিগব্যাং-টু। এ উপলক্ষে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার পণ্যের সমাহার ঘটানো হয়েছে ইভ্যালির অ্যাপে। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ৫০০। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের। তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ