Connect with us

আইন-বিচার

সামান্য অর্থের লোভেই সাংবাদিক আফতাবকে হত্যা: হাইকোর্ট

Avatar of author

Published

on

দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রবীণ ফটো সাংবাদিক ‘একুশে পদক’ প্রাপ্ত আফতাব উদ্দিন আহমেদকে সামান্য অর্থের লোভে নৃশংস ও নির্মমভাবে হত্যা করেছে আসামিরা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ ও আসামিদের আপিল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশিরউল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ভাষার মাসে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলায় রায়টি লিখেছেন বিচারপতি মো. বশিরউল্লাহ।

রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, এই অবৈধ হত্যাকাণ্ডটি আসামি মো. হুমায়ূন কবির মোল্লা, মো. রাজু মুন্সি, মো. হাবিব হাওলাদার, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু ও মো. রাসেল কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে। সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে এই অপরাধীরা কোনো ক্রমেই কোনো প্রকার অনুকম্পা ও কৃপা পেতে পারেন না। এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়া অত্যাবশ্যক। অমানবিক, বর্বরোচিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে মো. মহিউদ্দিন এবং অন্যান্য বনাম রাষ্ট্র মামলার সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা সমীচীন।

হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষণ করে মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সি (পলাতক) এবং মো. রাসেলদের (পলাতক) বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারার অভিযোগের অপরাধ সুনির্দিষ্ট এবং সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।

Advertisement

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গলায় ফাঁসির রশি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ প্রদান করেন। তা ছাড়া ট্রাইব্যুনাল আসামি মো. সবুজ খান ডাকাতি করার সময় সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করায় দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারার অভিযোগের অপরাধ সুনির্দিষ্টভাবে এবং সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।

আসামিদের ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ কর্তৃক সঠিকভাবেই দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারার অভিযোগে অপরাধ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে সঠিকভাবে রায় ও আদেশ প্রদান করেছেন। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত রায় ও আদেশ সম্পূর্ণ অভ্রান্ত, নির্ভুল এবং অহস্তক্ষেপযোগ্য। ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক প্রেরিত ডেথ রেফারেন্সটি অনুমোদন করা হলো। একইসঙ্গে মো. হুমায়ূন কবির মোল্লা, মো. বিল্লাল হোসেন কিসলু, মো. হাবিব হাওলাদার, মো. রাজু মুন্সি এবং মো. রাসেলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তকরণ করা হলো।

সাজাপ্রাপ্ত দণ্ডিতদের সব প্রকার ফৌজদারি আপিল এবং জেল আপিল সমূহ খারিজ করা হলো। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত প্রত্যেক ব্যক্তিকে এক হাজার টাকা হারে অর্থদণ্ড আরোপ করা হলো। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রাজু মুন্সি ও মো. রাসেলের সাজা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের তারিখ হতে অথবা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পনের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া (মিতি) শুনানি করেন।

Advertisement
Advertisement

আইন-বিচার

নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান

Published

on

আইনজীবী-মো.-আসাদুজ্জামান

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’

উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।

Advertisement

২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর

Published

on

অতিরিক্ত-অ্যাটর্নি-জেনারেল-এস-এম-মুনীর

পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।

২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।

Advertisement

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে

Published

on

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।

এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it