চট্টগ্রাম
বিজিপি সদস্য ও কর্মকর্তাদের ফেরত নিচ্ছে মিয়ানমার
বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে মিয়ানমারের জাহাজ। এই জাহাজে করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ মিয়ানমার বিজিপি সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিনের যেকোন আশ্রয়গ্রহণকারীদের ফেরত প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
বিজিপি সদস্যসরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রাণ বাঁচাতে গেলো কয়েকদিনে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিজিবি তাদের নিরস্ত্র করে হেফজতে নিয়েছিল।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়গ্রহণকারীদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ। তাদের মধ্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ৪ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ৪জন এবং উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ১১জন ভর্তি আছেন।
গুরুত্বর আহতদের আদৌ ফেরত নেয়া হবে কিনা সেটা এ পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি কোন বাংলাদেশী সংস্থা।
এদিকে টেকনাফ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, ফেরত প্রক্রিয়া ঠিক কখন শুরু হবে এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটির সাথে যুক্ত রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী, বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লেঃ কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ জানান, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সমুদ্রপথে মিয়ানমার জাহাজটিকে স্বাগত জানিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দেশটির বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এ জাহাজটি পাঠিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। মিয়ানমারের জাহাজটি বড় হওয়ার কারণে একদম উপকূলের কাছে আসতে পারবে না। তাই ছোট ছোট নৌকা বা ট্রলারে করে তাদের বড় জাহাজে তুলে দেয়া হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির ৩৩০ জন সীমান্তরক্ষী। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে টেকনাফের দুটি স্কুলে রাখা হয়েছে।দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার পর তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ইনানীর নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে মায়ানমারের জাহাজে করে আজ দিনের যেকোন সময় আশ্রয়গ্রহণকারীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/