বাংলাদেশ
সরকারি রাস্তা দখল করে বাড়ি নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৫ গ্রামের মানুষ
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ফারাজী পাড়া গ্রামে সরকারী রাস্তা দখল করে ঘর ও গাছ লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ ও গাছ লাগানোর কারণে রাস্তাটি সংকুচিত হয়। ফলে চলাচলের জন্য সৃষ্টি হয়েছে জনদূর্ভোগ। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রায় পাঁচ’শ পরিবার যাতায়াত করেন।
গেলো (১০ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ঘরবাড়ী অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে এ্যাডভোকেট মোঃ মাহাবুব আলম সরকার অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারীরা হলেন, মোঃ আজাদুল ইসলাম, মোঃ ইসরাফিল, মোঃ শহিদুল ফারাজী, মোঃ মতলুবর ফারাজী, মোঃ এনামুল হক সরকার ,মোঃ নেহারুল সরকার ও মোঃ আব্দুল লতিফ সরকারের বিরুদ্ধে। উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খোর্দ্দকোমরপুর মোসলেম উদ্দিন ফারাজীর বাড়ীর সামন থেকে মরহুম হেলাল উদ্দিন সরকারের বাড়ীর প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তাটি।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের খোর্দ্দকোমরপুর ফারাজী পাড়া গ্রামে ২০০৪ইং সালে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক রাস্তাটির উভয় পার্শ্বের মাটি দিয়ে সংস্কারের সময় সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে নকশা মোতাবেক মাপ যোগ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। খুঁটি স্থাপনে রাস্তার পশ্চিমে জমির মালিকগণ রাস্তায় লাগানো সকল প্রকার গাছ কেটে ফেলেন। কিন্তু পূর্ব পার্শ্বের জমির মালিকগণ প্রভাব দেখিয়ে মাপযোগ অমান্য করে সীমানা খুঁটি থেকে কয়েক ফুট ভিতরে ঘরবাড়ী ও ফলের গাছ লাগায়। যার ফলে রাস্তাটি পুর্বের চেয়ে আরো সংকীর্ণ হয়। যা নিয়ে প্রায়ই উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বর্তমানে রাস্তটি এমন বেহাল দশা পায়ে হেঁটে চলাও দুরুহ হয়ে পড়ছে। বর্ষাকাল তো দুরের কথা শকনা মৌসুমেও রিকসা ভ্যান, এমনকি বাই সাইকেল বা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করা দুরুহ হয়ে পড়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মোঃ তাইফুর রহমান জানান, উল্লেখিত বিষয়ে মাহবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক স্যারের বরাবর একটি অভিযোগ দেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। তারই পরিপেক্ষতিতে আমি গত ৩০/০৩/২০২২ইং তারিখে উভয় পক্ষকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করাই। পরে মোসলেম উদ্দিন ফারাজীর বাড়ীর সামন থেকে মরহুম হেলাল উদ্দিন সরকারের বাড়ীর প্রায় অর্ধ কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তাটি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। পরিমাপে গাছ ও ঘর সরকারী রাস্তার সীমানায় মধ্যে পড়ে। পুনরায় গেলো ১৮/০৫/২০২২ইং তারিখে উভয় পক্ষকে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে শুনানীতে অংশ গ্রহণের জন্য একটি নোটিশ দ্বারা আহবান করা হয়। উভয় পক্ষে উপস্থিতিতে শুনানী হয়। সেখানে বলে দেওয়া হয়েছে যেহেতু সরকারী রাস্তার উপর গাছগুলো অবস্থিত। সকল গাছ পালা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য প্রসেসিং করা হচ্ছে। রাস্তায় মধ্যে যাদের ঘর পড়ছে তারা নিজেরা অপসারণ না করলে সরকারী বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ মামলায় সেগুলো অপসারণ করা হবে ।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ