জনদুর্ভোগ
৩য় দিনের মতো যান চলাচল বন্ধ পোস্তগোলা সেতুতে
সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার ৩য় দিনের মতো রাজধানীর পোস্তগোলা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাজধানীতে প্রবেশে ও বের হওয়ার জন্য পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম পোস্তগোলা সেতু।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেতু দিয়ে যান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। যদিও গেলো বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া সংস্কার কাজ শুরুর সময়ে হালকা যান চলাচলের অনুমতি ছিল।
আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত এই ১৬ দিন সেতু দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। একই অনুরোধ জানিয়ে বিকল্প রুটের নির্দেশনাও দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
ভারী যানবাহনের জন্য নির্দেশনা বিকল্প সড়ক
এ বিষয়ে সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (এন-৮ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) মহাসড়কের তৃতীয় কিলোমিটারে অবস্থিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা সেতু-১ এর (পোস্তগোলা সেতু) দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিং কাজ করা হবে।
এজন্য ভারী যানবাহন (ট্রাক-পিকআপ ভ্যান, কাভার্ডভ্যান, কনটেইনারবাহী লরি) ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত এবং হালকা যানবাহন (বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি) ২৪ ও ২৬ এবং ১, ৪ ও ৮ মার্চ- এই পাঁচদিন বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে ।
আর যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কগামী যানবাহন ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ড ও বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন হয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক হতে যাত্রাবাড়ীগামী যানবাহন তেঘড়িয়া ইন্টারসেকশন-বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে ধোলাইপাড় হয়ে যাত্রাবাড়ী প্রবেশ করবে। গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণ অঞ্চলগামী যানবাহন পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে যাতায়াত করবে। দেশের পূর্বাঞ্চলদক্ষিণ পূর্বাঞ্চল হতে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলদক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট হয়ে যাতায়াত করবে। দেশের উত্তরাঞ্চল হতে ছেড়ে আসা দক্ষিণাঞ্চলগামী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে যাতায়াত করবে।
হালকা যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক
পদ্মা সেতু হতে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামমুখী যানবাহন শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ- মুক্তারপুর সেতু- তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু- মদনপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে। সিলেট, চট্টগ্রাম হতে পদ্মা সেতুমুখী যানবাহন মদনপুর হতে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু- মুক্তারপুর সেতু মুন্সীগঞ্জ- শ্রীনগর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে। পদ্মা সেতু হতে ঢাকাগামী যানবাহন শ্রীনগর দোহার- নবাবগঞ্জ- কেরানীগঞ্জ (আর-৮২০) সড়ক, তুরাগ-রোহিতপুর (জেড-৫০৬৯), আব্দুল্লাহপুর- রাজাবাড়ী বাজার-কোনা খোলা মোড়-বছিলা সেতু- মোহাম্মদপুর সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।
জনদুর্ভোগ
শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ
কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।
শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।
সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
জেডএস/
জনদুর্ভোগ
ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা
কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
এএম/
জনদুর্ভোগ
যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ
নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।
মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এএম/