টুকিটাকি
লিপ ইয়ার বা ২৯শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে ১০টি মজার তথ্য
লিপ ইয়ার, মানে যে বছরে থাকে একটা অতিরিক্ত দিন। চলতি ২০২৪ সালেও পড়েছে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। কিন্তু পুরোপুরি জ্যোর্তিবিজ্ঞানের কারণেই ২৯শে ফেব্রুয়ারি ‘লিপ ডে’ হলেও, এ নিয়ে বৈজ্ঞানিক আগ্রহ বেশ কমই দেখা যায়।
কীভাবে হয় লিপ ইয়ার, এর ইতিহাস কী, ফেব্রুয়ারিতেই কেন? এই একটি দিন ঘিরে আছে এমন নানা প্রশ্ন। সে সবের উত্তর খোঁজা যাক।
১. লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত দিনটা জরুরি আমাদের সৌরজগতের ‘বিশৃঙ্খল’ অবস্থার জন্যই। কারণ এক বছরে পৃথিবী সূর্যের চারপাশে একটা সম্পূর্ণ কক্ষপথ ঘুরে আসতে কিন্তু ঠিক পুরোপুরি ৩৬৫ দিন লাগে না। বরং সব মিলে সময়টা ৩৬৫.২৪২২ দিনের মতো। ফলে প্রতি বছর আসলে এক দিনের চার ভাগের প্রায় এক ভাগ সময় যোগ হয়। যা প্রতি চার বছরে একটা বাড়তি দিন যোগ করে।
২. জুলিয়াস সিজার রোমের ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত ৩৫৫ দিনে বছর, এমন ক্যালেন্ডারই সবাই মেনে চলত – যেখানে প্রতি দুই বছর পরপর একটা অতিরিক্ত ২২ দিনের মাস যু্ক্ত হত।
কিন্তু এটা আসলে সমস্যার একটা জটিল সমাধান ছিল এবং উৎসবের দিনগুলো ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে যেতে শুরু করে। তাই সিজার তার জ্যোতির্বিজ্ঞানী সোসিজেনেসকে বিষয়টি সহজ করার নির্দেশ দেন। সোসিজেনেস তখন ৩৬৫ দিনে বছর করে যে অতিরিক্ত ছয় ঘন্টার মতো থেকে যায় সেটা মিলিয়ে নিতে চার বছর পরপর একটা অতিরিক্ত দিন ক্যালেন্ডারে যুক্ত করেন। আর এভাবেই ২৯শে ফেব্রুয়ারির জন্ম। যা পরবর্তীতে পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি সূক্ষ পরিমার্জন করেন।
৩. আঙুলের হিসেবে প্রতি চার বছর পরপর আসে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। কিন্তু কথা এখানেই শেষ না। যেই বছরটাকে ১০০ দিয়ে ভাগ করা যায় কিন্তু আবার ৪০০ দিয়ে করা যায় না, সেটা লিপ ইয়ার নয়। সে কারণেই গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকাবর্ষ অনুযায়ী আমরা ২০০০ সালে লিপ ইয়ার পেয়েছি, ১৬০০ সালে লিপ ইয়ার ছিল, কিন্তু আবার ১৭০০, ১৮০০ ও ১৯০০ লিপ ইয়ার নয়।
“এটা খানিকটা স্বেচ্ছাচার মনে হতে পারে”, বলেন ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের এমিরিটাস অধ্যাপক ইয়ান স্টুয়ার্ট। তবে এর পেছনেও আসলে যুক্তিযুক্ত কারণ আছে।
“বছরে ৩৬৫ দিন ও একটা দিনের চার ভাগের এক ভাগ – কিন্তু সেটাও ঠিক পুরোপুরি নয়, বরং তার চেয়ে খানিকটা কম। সেটা একদম যথার্থ চার ভাগের এক ভাগ হলে প্রতি চার বছর পরপর লিপ ইয়ার হত।”
এই হিসাবটা আসে যখন পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি ও তার সঙ্গী জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চালু করেন এবং তাতে প্রতি চারশ বছরে তিনটা লিপ ডে বাদ পড়ে। এই হিসাবটা তখন থেকে আজ অবধি চালু আছে। কিন্তু ইয়ান স্টুয়ার্ট মনে করেন মানুষকে হয়তো ১০ হাজার বছর পর এটা নিয়ে আবার নতুন করে ভাবতে হবে। কিন্তু তত দিনে অবশ্য মানবজাতি নতুন কোন পদ্ধতিও চালু করে ফেলতে পারে।
৪. ফেব্রুয়ারির ২৯ই কেন?
অন্য সব মাসেই আছে ৩০ বা ৩১ দিন করে, কিন্তু ইয়ান স্টুয়ার্ট জানাচ্ছেন রোমান সম্রাট সিজার অগাস্টাসের ব্যক্তিগত ইচ্ছের কাছে বলি হয়েছে ফেব্রুয়ারি। জুলিয়াস সিজারের অধীনে কিন্তু ফেব্রুয়ারি ৩০ দিনের মাস ছিল। কিন্তু সিজার অগাস্টাস যখন সম্রাট হন, তখন তিনি তার নিজের নামাঙ্কিত মাস অগাস্ট ২৯ দিনের হওয়ায় খানিকটা বিরক্ত হন। কারণ তার আগের সম্রাট জুলিয়াসের নামাঙ্কিত মাস – জুলাই – ছিল ৩১ দিনের।
“তিনি তখন অগাস্টে আরো দুই দিন যুক্ত করে জুলাইয়ের সমান করেন, আর বেচারা ফেব্রুয়ারিকে সেই দুই দিন হারাতে হয়”, বলেন অধ্যাপক স্টুয়ার্ট।
৫. ঐতিহ্যগতভাবে লিপ ইয়ারের দিন মেয়েরা ছেলেদের প্রস্তাব দেয় বলে বিভিন্ন ইতিহাসবিদের কথায় উঠে আসে। যার একটা ৫ম শতকে সেন্ট ব্রিজেটের ঘটনা, যেটা নিয়ে অবশ্য বেশ বিতর্ক আছে।
বলা হয়ে থাকে যে তিনি সেন্ট প্যাট্রিকের কাছে অভিযোগ নিয়ে যান যে মেয়েদের তাদের পছন্দের মানুষের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। সেন্ট প্যাট্রিক তখন সম্ভবত মেয়েদের প্রস্তাব দেয়ার জন্য ঐ লিপ ইয়ারের একটি দিন নির্দিষ্ট করে দেন – সবচেয়ে ছোট মাসের সব শেষ দিন।
আরেকটা জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে যে স্কটল্যান্ডের রানি মার্গারেট একটা আইন জারি করেন, যে সমস্ত পুরুষ লিপ ইয়ারে মেয়েদের দিক থেকে আসা বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবে তাদের জরিমানা দিতে হবে।
কিন্তু অনেকে আবার বলে থাকেন সে সময় মার্গারেটের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর এবং তিনি তখন অনেক দূরে নরওয়েতে ছিলেন। এই রীতি আসলে ১৯ শতক থেকে বেশি প্রচলিত হয়।
মনে করা হয় যে মেয়েদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়ার এই রীতি চলে আসছে যখন ইংলিশ আইনে লিপ ইয়ার অর্ন্তভুক্ত হয়নি তখন থেকেই।
এই মতবাদ অনুসারে যেহেতু এই দিনের কোন আইনগত ভিত্তি নেই, তাই সাধারণত ছেলেদের প্রস্তাব দেয়ার প্রথাগত রীতি ভাঙাটা গ্রহণযোগ্য।
৬. লিপ ইয়ারে মেয়েদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়ার বিষয়টি বিশ্ব জুড়ে একেক দেশে একেক রকম। ডেনমার্কে যেমন এটা ২৯শে ফেব্রুয়ারি নয়, বরং ২৪শে ফেব্রুয়ারি – যা জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে চলে আসছে। কোনও ড্যানিশ পুরুষ কোনx নারীর বিয়ের প্রস্তাব না মানলে তাকে তখন ঐ নারীকে ১২ জোড়া দস্তানা দিতে হয়। ফিনল্যান্ডে আবার দস্তানা নয়, বরং তাকে স্কার্ট বানানোর কাপড় দিতে হবে। তবে গ্রিসে লিপ ইয়ারের দিন বিয়ে করা অশুভ মনে করা হয় তাই অনেকে সেটি এড়িয়ে চলে।
৭. ১৪৬১ জনে ১! লিপ ডে-তে জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে বলা হয় প্রতি ১৪৬১ জনে একজন এদিন জন্ম নেন। চার বছরে হয় ১৪৬০ দিন আর লিপ ইয়ারের অতিরিক্ত এক দিন মিলে হয় ১৪৬১। এক্ষেত্রে তাই সম্ভাব্যতা দাঁড়ায় ১/১৪৬১। তবে ইয়ান স্টুয়ার্ট বলছেন এই হিসাবটাও পুরোপুরি ঠিক নয়, কারণ চারশ বছরে তিনটা লিপ ইয়ার হারাচ্ছি আমরা। এছাড়া নানা বিষয় মিলিয়ে বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে শিশুদের জন্ম বেশি হয় বলে মনে করেন তিনি। ২৯শে ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়াদের বলা হয় ‘লিপার্স’ বা ‘লিপলিংস’।
৮. লিপ ইয়ারের রাজধানী বলে স্বীকৃত টেক্সাসের অ্যান্থনি শহর। ১৯৮৮ সালে এই শহরের বাসিন্দা ও লিপ ইয়ারে জন্ম নেওয়া ম্যারি অ্যান ব্রাউন চেম্বার অফ কমার্সের কাছে যান শহরে একটা লিপ ইয়ার উৎসবের আবেদন নিয়ে। তার সেই আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং অ্যান্থনিকে ঘোষণা দেয়া হয় বিশ্বের লিপ ইয়ার রাজধানী হিসেবে। তারপর থেকে প্রতি বছর সারা বিশ্বের লিপাররা টেক্সাসের এই শহরে জড়ো হয়ে প্যারেডে অংশ নেন, একসাথে বার্থডে ডিনার, নাচানাচি এবং হট এয়ার বেলুনে চড়েন সবাই।
৯. গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ছাড়া অন্যান্য ক্যালেন্ডারেও লিপ ইয়ারের দরকার পড়ে। আধুনিক ইরানের ক্যালেন্ডারটি যেমন সৌর ক্যালেন্ডার, যাতে প্রতি ৩৩ বছরে ৮টা লিপ ডে আছে।
ভারতের জাতীয় ক্যালেন্ডার এবং বাংলাদেশের যে বাংলা পঞ্জিকাবর্ষ তাতে লিপ ইয়ার এমনভাবে রাখা হয় যাতে লিপ ডে সব সময় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯শে ফেব্রুয়ারির খুব কাছাকাছি থাকে।
১০. অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাস ওয়েস্ট ইন্ডিজে তার চূড়ান্ত অভিযানের সময় ১৫০৪ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারির চন্দ্র গ্রহণকে নিজের সুবিধার্থে কাজে লাগান। তিনি যখন জ্যামাইকা দ্বীপে বেশ কয়েক মাস তার নাবিকদের নিয়ে আটকা পড়েন, তখন এক পর্যায়ে স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং তারা খাবার ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে সহায়তায় অস্বীকৃতি জানায়।
কলম্বাস জানতেন যে একটা চন্দ্রগ্রহণ আসন্ন, তার সহযোগীদের সাথে আলাপ করে তিনি স্থানীয় সব আদিবাসী নেতাদের একসাথে করেন ২৯শে ফেব্রুয়ারি। তিনি তাদের বলেন, ঈশ্বর চাঁদকে লাল বর্ণ করে তাদের শাস্তি দেবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় বলেন যদি তারা আবার সহায়তা করতে শুরু করে তাহলে ঈশ্বর তার শাস্তি ফিরিয়ে নেবেন।
আরেকটা অতিপ্রাকৃত ঘটনা হল, ১৬৯২ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারি ম্যাসচুসেটসের সালেম উইচক্র্যাফট ট্রায়ালের প্রথম ওয়ারেন্ট জারি হয়।
সব কথার শেষ কথা, লিপ ইয়ারে আপনি সৌভাগ্যবান যে বছরে একটা অতিরিক্ত দিন পাচ্ছেন।
আবার যারা চাকরিজীবী তারা ভাবতে পারেন যে বছরে একদিন কোনও বাড়তি বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
টুকিটাকি
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২ বছর ধরে তরুণীকে ধর্ষণ
তরুণীকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগে রোববার মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী থেকে ২৮ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠাণে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম রিয়াসাত ইলিয়াস কুরেশি। গেলো দু’বছর ধরে এক তরুণীকে লাগাতার ধর্ষণ করেছে সে।
অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দু’জনেই ঠাণের বাসিন্দা। ২০২১ সালে বছর ২৪-এর ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতায় ইলিয়াস। কিছু দিনেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। এর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে সে। একবার ওই তরুণীকে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করা হয়।
কিন্তু এ বছর তরুণী বিয়ের কথা তুলতেই বেঁকে বসে সে। এর পরেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ওই তরুণী।
রাবোড়ি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পেশায় এক জন দর্জি। নিজের দোকান রয়েছে তার। ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর বিয়েতে রাজি না হওয়াতে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জেএইচ
টুকিটাকি
বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে
যুগলের বিয়ের আগে বরের বাবা পালিয়ে গেলেন কনের মাকে নিয়ে। অনেক খুঁজেও তাদের হদিস মিলল না। অগত্যা পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্চ জেলার। অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে যুগলের বাগ্দান পর্ব সারা হয়েছিল। বাকি ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারই তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন আগে হঠাৎই উধাও হয়ে যান বরের বাবা। ওই একই সময় থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না কনের মায়েরও। দুই পরিবার এ নিয়ে বিভ্রান্ত হয়। নানা জায়গায় দু’জনের খোঁজ করা হয়। কী থেকে কী হয়েছে, কারও সে সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না।
প্রায় এক মাস ধরে দু’জনের খোঁজ করে পরিবার। এরপর বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন কনের বাবা। তার অভিযোগ, তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তার হবু জামাইয়ের বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্তের নাম শাকিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিজেরই ১০ সন্তান। এ ছাড়া, ওই মহিলার আরও ছয় সন্তান রয়েছে। মোট ১৬ সন্তান রেখে তারা পালিয়েছেন।
কনের বাবা থানায় জানিয়েছেন, গেলো ৩ জুন থেকে তার স্ত্রী নিখোঁজ। একই সময় থেকে পাওয়া যাচ্ছে না হবু জামাইয়ের বাবাকেও। তিনি মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা অভিযোগকারীর।
তদন্তে নেমে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দু’জন স্বেচ্ছায় একে অপরের সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন। তবে বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, যুগলের বাগ্দানের পর থেকেই বরের বাবা এবং কনের মা নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করেন। গোপনে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন। ক্রমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরেই দু’জন পালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
স্থানীয় স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা অনুযায়ী অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, মহিলা নিজের ইচ্ছাতেই পালিয়েছেন। তবু পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি স্বেচ্ছায় না হয়ে থাকলে ওঁকে ফিরিয়ে আনা হবে।’
জেএইচ
টুকিটাকি
স্বামীর গায়ের রং কালো, তাই বাপের বাড়ি চলে গেলেন স্ত্রী
স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন স্ত্রী! বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবক। তার অভিযোগ, সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছেন স্ত্রী। আর ফিরতে চাইছেন না। চলে যাওয়ার কারণ হিসাবে স্বামীর গায়ের রংকে দুষছেন তিনি। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মহিলাও স্বামীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে পাল্টা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। ২৪ বছর বয়সি যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়েছে। কিছু দিন আগে তার স্ত্রী এক কন্যা সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। এর পরেই সন্তানকে ফেলে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। কিছু দিন পর বাপের বাড়ি থেকে যুবক স্ত্রীকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বামীর গায়ের রং কালো হওয়ায় তার সঙ্গে ঘর করতে চান না।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ আপাতত আগামী শনিবার দম্পতিকে থানায় তলব করেছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দু’জনের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে গোলমাল মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। তাতেও যদি মিটমাট না হয়, তবে অভিযোগ অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে পুলিশ।
গোয়ালিয়রের ভিকি ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে একাধিক বার ঝামেলাও হয়েছিল। কিছু দিন আগে সন্তান জন্ম দওয়ার পরেই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যদিও মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, স্বামী তার উপর অত্যাচার করেন। সেই কারণেই তিনি বাড়ি ছেড়েছেন।
জেএইচ