রাজশাহী
নাটোরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম
নাটোরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকছেদ আলী মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার রুয়েরভাগ আম বাগানে এধরনের ঘটনা ঘটে। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকছেদ আলী মোল্লা সদর উপজেলার রুয়েরভাগ এলাকার মৃত মহসীন আলী মোল্লার ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকছেদ আলী মোল্লা ও আব্দুল কাদেরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ জমি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন আব্দুল কাদের (দীলিপ)। পরবর্তীতে শুনানি শেষে আদালত দীলিপের পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে মুক্তিযোদ্ধা মকছেদ আলী মোল্লা আদালতে আবেদন করলে আদালত তিন মাসের স্থগিত আদেশ দেন। পরবর্তীতে মকছেদ আলী মোল্লা জমি জবর-দখলের অভিযোগ এনে থানায় আব্দুল কাদের দীলিপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করেন। সেই থেকে আব্দুল কাদের প্রতিপক্ষ মকছেদ আলী মোল্লার প্রতি ক্ষুদ্ধ ছিলেন। আজ সকালে মকছেদ আলী মোল্লা জমি দেখতে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান।
এ বিষয়ে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে একাধিক বার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। নাটোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দিনের বেলায় হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। এ ধরনের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি করছি।
ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু-পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ