খেলাধুলা
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ শুরু আজ
টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়াই করেও ২-১ ব্যবধানে হার। ওয়ানডে সিরিজে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? বুধবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াচ্ছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দুইটায়।
টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির তুলনায় ওয়ানডেতে তুলনামূলক ভালো খেলে বাংলাদেশ। সেই ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রতি বছরই ওয়ানডেতে টাইগারদের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ।
তবে ২০২৩ সালে এই ওয়ানডে ফরম্যাটটাই ভালো কাটেনি। গেলো বছর ৩২টি একদিনের খেলায় অংশ নিয়ে ১১টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। যে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয়ের দেখা মিলেছে কালেভদ্রে, গত বছর সেই টি-টোয়েন্টিতেই বরং টিম বাংলাদেশের জয়ের সংখ্যা ছিল বেশি। ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়সংখ্যা ছিল ১০।
২০২৪ সালের প্রথমেই শ্রীলঙ্কার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে শুরু হয়েছে টাইগারদের। এবার ওয়ানডেতে লঙ্কানদের সামনে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলতে খেলতে খারাপ করা আর ওয়ানডেতে একটি বাজে বছর কাটানোর পর নতুন বছরের শুরুর অপেক্ষা। শান্ত বাহিনীর জন্য ওয়ানডের সেই দাপুটে বছরগুলো ফেরানোই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রথম ওয়ানডেতে টাইগারদের একাদশ কেমন হতে পারে? তিন মাস আগে গত বছর ডিসেম্বরে নেলসন ও নেপিয়ারে কিউইদের বিপক্ষে ৩ পেসার, ৬ ব্যাটার আর ২ স্পিনার দিয়ে দল সাজিয়ে শতভাগ সাফল্যের দেখা মিলেছিল। এবার ঘরের মাঠে কি সেই কম্বিনেশনই থাকবে, নাকি রদবদল ঘটবে?
কম্বিনেশনে তেমন বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে একাদশে হয়তো একটা বদল ঘটবেই। সেটা হলো, গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সিরিজে দলে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার এ অভিজ্ঞ যোদ্ধা ও পরীক্ষিত সেনা আছেন দলে। হয়তো তিনি খেলবেনও। অধিনায়ক শান্তর কথায় মিলেছে সে ইঙ্গিত। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ করা রিশাদ হোসেনও একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন।
যদিও ম্যাচের আগের দিনও একাদশ নিয়ে কিছু খোলাসা করেননি টাইগার অধিনায়ক। তার কথা, ‘কাল যখন ব্যাটিং নামবে তখনই জানতে পারবেন। পুরোটাই দলের পরিকল্পনা। দলের জন্য যার যেখানে প্রয়োজন হবে, সেটাই করা হবে। কিন্তু এখন এটা বলতে চাইছি না।’
প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//