বাংলাদেশ
বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকা সপ্তম
বিশ্বের বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহরের তালিকায় তিন ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছর রাজধানী ঢাকা সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর ঢাকার অবস্থান ছিল চতুর্থ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) প্রকাশিত ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইআইইউ বলেছে, ঢাকার অবস্থানের সামান্য উন্নতি মূলত করোনা মহামারি বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার কারণে হয়েছে।
ঢাকার অবস্থানের উন্নতি ঘটায় পাকিস্তানের করাচি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স এবং লিবিয়ার ত্রিপোলির অবস্থানের অবনতি ঘটেছে।
আজ প্রকাশিত গ্লোবাল লাইভবিলিটি ইনডেক্স ২০২২-এ ঢাকা ১০০ এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ২ স্কোর করেছে এবং ১৭২টি শহরের মধ্যে ১৬৬তম স্থানে রয়েছে। গত বছর র্যাংকিয়ে শহরটির স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৫।
ইআইইউ সূচক পাঁচটি প্রধান বিষয় বিবেচনা করে। সেগুলো হলো- স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো।
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক সবচেয়ে খারাপ শহর হিসেবে রয়েছে।
এমনকি তালিকার নিচের ১০টি শহরের মধ্যে ঢাকা অবকাঠামোগত দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ করেছে। শহরটির স্কোর মাত্র ২৬.৮।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন বছর পর অকল্যান্ড থেকে শীর্ষ স্থানটি ছিনিয়ে নিয়েছে ভিয়েনা। জাদুঘর ও রেস্তোঁরাগুলো করোনার প্রভাবে বন্ধের কারণে ২০২১ সালে শহরটি ১২তম স্থানে নেমে গিয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থা সারা বিশ্বের শহরগুলোতে সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার স্কোরকে প্রভাবিত করেছে। মহামারি বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলতি বছরের সূচকে স্কোর স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
র্যাংকিয়ের উপরের দিকে মূলত পশ্চিম ইউরোপ ও কানাডার শহরগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের শহরগুলোর অবস্থান গত বছরের তুলনায় উন্নতি হয়েছে৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট ৩২ ধাপ উপরে উঠে সপ্তম স্থানে এসেছে, এবং হামবুর্গ ৩১ ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে রয়েছে।
ইআইইউ'র রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে কিয়েভকে জরিপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কো বসবাসযোগ্যতা শহরের তালিকায় ১৫ ধাপ নেমে গেছে।
চীনের ১১টিসহ এই বছর তালিকায় ৩৩টি নতুন শহর যুক্ত হয়েছে।
১০টি শীর্ষ বাসযোগ্য শহরগুলো হলো যথাক্রমে ভিয়েনা (প্রথম), কোপেনহেগেন (দ্বিতীয়), জুরিখ (তৃতীয়), ক্যালগারি (চতুর্থ), ভ্যানক্যুভার (পঞ্চম), জেনেভা (ষষ্ঠ), ফ্রাঙ্কফুর্ট (সপ্তম), টোরন্টো (অষ্টম), অ্যামস্টারডাম (নবম), ওসাকা ও মেলবোর্ন (দশম)।
১০টি সবচেয়ে কম বাসযোগ্য শহরগুলো হলো যথাক্রমে দামেস্ক (১৭২তম), লাগোস (১৭১) ত্রিপলি (১৭০তম), আলজেয়ার্স (১৬৯তম), করাচি (১৬৮তম), পোর্ট মোরেসবি (১৬৭তম), ঢাকা (১৬৬তম), হারারে (১৬৫তম), ডৌয়ালা (১৬৪তম) ও তেহরান (১৬৩তম)।
টিআর
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ