ফুটবল
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
নিজেদের অর্ধ থেকে লুকাস পাকেতার উঁচু করে বাড়ানো বল সবাইকে পেছনে ফেলে ধরে ফেলেন ভিনিসিয়াস। বল পেয়ে বক্সে ঢোকা ভিনির একমাত্র বাধা তখন গোলরক্ষক। তবে মাদ্রিদ তারকা এমন দুর্বল শট নিলেন যে, গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বল গেল না গোললাইন পর্যন্ত। অনায়াসে ফিরিয়ে দিলেন কাইল ওয়াকার।
দুর্ভাগ্যের তরীতে ব্রাজিল ফের হতাশ হয় ৩৫তম মিনিটে। ওয়েস্ট হ্যামের মিডফিল্ডার পাকেতার শট সবাইকে ফাঁকি দিলেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোল পোস্টে।
৪২ তম মিনিটে হ্যারি মাগুয়েরোর ভুলে ডি বক্সের ভিতরে বল পেয়ে যান রাফিনিয়া। কিন্তু গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল পাঠিয়ে দেন গোল লাইনের বাইরে দিয়ে।
প্রথমার্ধেই তিনটি বড় সুযোগ মিস করা ব্রাজিলের দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। ৭১তম মিনিটে রদ্রিগোকে তুলে ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এন্দ্রিককে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ।
৮০ মিনিটে আন্দ্রেস পেরেইরা বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে পেয়ে যান ভিনিসিয়াস। বক্সে ঢুকে তার নেয়া শট ঠেকয়ে দেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। তবে ফিরতি বল চলে আসে এন্দ্রিকের পায়ে, অনায়াসে জালে পাঠিয়ে উল্লাসে ভাসান ব্রাজিলকে।
তিন ম্যাচ খেলে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল পাওয়া এন্দ্রিক দ্বিতীয় গোলেও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে সেই শট ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। তবে এন্দ্রিক দ্বিতীয় গোলের সুযোগ মিস করলেও ভুগতে হয়নি ব্রাজিলকে। সব শেষ তিন ম্যাচেই হারের মুখ দেখা ব্রাজিল জয়ে ফিরলো দম্ভ নিয়েই।
ইংল্যান্ডে এই ম্যাচের আগে ১২টি ম্যাচ খেলেছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যে কেবল দুইটি ম্যাচে জিততে পেড়েছে তারা। সব শেষ জয় পেয়েছিলো ১৯৯৫ সালে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে আরও চারটি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। এর মধ্যে তিনটিতে ড্র, অন্যটিতে হেরেছে সেলেসাওরা।
ব্রাজিলের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচে ডাগআউট সামলে দুর্ভেদ্য ইংল্যান্ড-দুর্গ জয় করলেন দরিভাল জুনিয়র। হতাশার চোরাবালিতে ডুবতে থাকা ব্রাজিলকে জয় এনে দিয়ে আগামী প্রতিপক্ষদের যেন হুমকিই দিয়ে রাখলেন ব্রাজিলের নতুন কোচ। বললেন, এটা মাত্র শুরু!
ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে দরিভাল বলেন, ‘নিশ্চিত করেই এটা বিশেষ এক মুহূর্ত। ইংল্যান্ডের মাটিতে এর আগে ব্রাজিলের অল্প কয়েকটি ম্যাচ জয়ই আমাদের (এই দলের) সম্পর্কে ধারণা দেয়। কিন্তু এটা থেকে সরে গেলে চলবে না যে আমাদের কাজের মাত্র শুরু।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//