চট্টগ্রাম
চলন্ত ট্রেনে শিশুর জন্ম দিলেন এক নারী
ঢাকা হতে চট্টগ্রাম অভিমুখী ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ চলন্ত অবস্থায় ‘ড বগি’তে একটি মেয়ে নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক নারী।
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর স্টেশন এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ট্রেনে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।
নবজাতকের মায়ের নাম জান্নাতুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহার ইউনিয়নের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী।
রেলসূত্রে জানা যায়, ‘সুবর্ণ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ‘ড’ বগি দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন গর্ভবতী জান্নাতুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী ইকবাল হোসেন। ট্রেনটি ভৈরব বাজার স্টেশন পার হলেই জান্নাতুল ইসলামের প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের কর্মী জুবায়ের ও চালক মো রাসেল মুন্সী ঢাকা কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানান।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের কন্ট্রোল রুম থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্ট্রেশন মাস্টারকে বিষয়টি অবগত করা হয় এবং ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন এলে গর্ভবতী জান্নাতুল ইসলামকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন পৌঁছানোর আগেই সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলস্টেশন এলাকায় জান্নাতুল ইসলাম কন্যা শিশুকে জন্ম দেন। শিশুটিকে প্রসব করান ট্রেনের এক চিকিৎসক যাত্রী। পরে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এলে প্রসবকারী জান্নাতুল ইসলাম ও নবজাতকটিকে একটি সিএনজিতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রেনে জন্ম নেয়া শিশু ও প্রসবকারীকে হাসপাতালে আনার পর ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেই। তবে স্বামী ইকবাল হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মা ও মেয়েকে নিয়ে চলে যান। মা ও মেয়ে সুস্থ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা থেকে জানায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেবে। কারণ একজন নারীর প্রসব বেদনা উঠেছে। তবে তালশহর স্টেশনেই নারীটি কন্যা শিশুর জন্ম দেয়। ৬টা ২০ মিনিটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরত দেয়া হয়। তারপর মা ও নবজাতকটিকে ট্রেন থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/