Connect with us

অন্যান্য

টাইটানিক ছবির রোজকে ভাসিয়ে রাখা সেই কাঠ পৌনে ৮ কোটি টাকায় বিক্রি

Avatar of author

Published

on

ছবি সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র টাইটানিক।বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার গল্পে ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় ‘টাইটানিক’ সিনেমা।  ছবিটির শেষ দৃশ্যে অভিনেত্রী রোজ যে কাঠের ওপরে ভেসে বেঁচে ছিলেন, সেটিই এবার নিলামে ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭ কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার বেশি।

পর্দায় এই দুই তারকার রসায়ন ছুঁয়ে যায় লাখো কোটি দর্শকের হৃদয়। এখনও ভক্তদের মনে ঝড় তোলে রোজ-জ্যাকের ভালোবাসার সম্পর্ক ও বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। বিশেষ করে সিনেমার শেষের দিকে নায়িকা রোজকে জাহাজের একটি ভাঙা দরজার ওপর রেখে নিজে বরফ শীতল পানিতে ভেসে থাকার সেই মুহূর্ত কাঁদিয়েছে সকলকে।

১৯১২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিক প্রথম যাত্রাতেই ২ হাজার ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ই ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্র টাইটানিকের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন হলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন।

টাইটানিক ছবিতে রোজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ক্যাট উইন্সলেট আর জ্যাকের চরিত্রে অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। সেই ছবির জ্যাক আর রোজ এখনও মানুষের স্মৃতিতে অম্লান। সিনেমায় দেখা গেছে, জাহাজডুবির পর টাইটানিকের যাত্রীদের বেঁচে থাকার মরিয়া চেষ্টা। অপর্যাপ্ত লাইফ বোটে ঠাঁই হয়নি বেশিরভাগ যাত্রীর।

এর মধ্যেই দেখানো হয়, ঠান্ডা বরফ জমা পানিতে একটি কাঠের টুকরোর ওপর ভেসে আছেন রোজ। সিনেমাটি সারা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কাঠের টুকরোটিকে অনেকে দরজা বলে ভুল করলেও এটি আসলে ছিল জাহাজের লাউঞ্জের প্রবেশপথের দরজার ফ্রেমের অংশ।

Advertisement

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাঠের এই টুকরোটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলে এসেছে যে, জ্যাক এবং রোজ দুইজনই এই কঠের খণ্ডের ওপরে ভেসে থাকতে পারতেন কিনা। কাঠ খণ্ডটি ছিল ৮ ফুট লম্বা এবং প্রায় সাড়ে তিন ফুট চওড়া।

ওই নিলামে আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিনেমার ব্যবহৃত পণ্য, সরঞ্জামও তোলা হয়। তবে এসব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে টাইটানিকের সেই দরজাটি। কারণ এই দরজা নিয়ে সিনেমার পরে অনেক প্রশ্ন ছিল।

জ্যাক ভক্তরা নির্মাতা জেমস ক্যামেরনকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন সেই দরজায় জ্যাককে তোলা হয়নি? কেন তাকে বাঁচানো হলো না? এ সকল প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন পরিচালক।

কাঠটি নিলামে তোলার সময় বলা হয়েছিল, “বিশাল জিনিস। সত্যিই সবচেয়ে বড় দৃশ্য। চূড়ান্ত দৃশ্য। এটিই সেই বিদায়।” ৯০ হাজার ডলার থেকে দাম হাকা শুরু হয়। ৫ মিনিট পরই দাম ৫ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায় ৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ ডলারে।

প্রসঙ্গত, এর আগে, কাঠের টুকরোটি দুই দশক ধরে পড়ে ছিল স্টোরেজে। তার আগে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় প্ল্যানেট হলিউডে এটি ডিসপ্লেতে রাখা ছিল।

Advertisement
Advertisement

অন্যান্য

জামায়াত নিষিদ্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট

Published

on

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রমাণ করেছে এই দেশে এখন আর কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নাই। আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮/১ ধারায় কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হলে সবার আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ এই দেশে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ১৪ দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ কোন নিয়মে জামায়াতকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা আমাদের কাছে বিস্ময়ের। তাদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিনাভোটের অগণতান্ত্রিক সরকার আরো একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের কালো অধ্যায় রচিত করলো। জাতির সামনে প্রশ্ন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য আওয়ামী লীগের থেকে অনুমতি নিতে হবে?

Advertisement

তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনা কারণে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে। তারা আগামীতে বিএনপিসহ সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকেও একই পন্থায় নিষিদ্ধ করতে পারে। আওয়ামী লীগ তাদের গোলামদের সঙ্গে নিয়ে এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। আমরা সরকারের এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

রাজকীয় অভ্যর্থনা বলে কথা! প্রেমিকাকে হাঁটালেন টাকার কার্পেটে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

নিজের প্রিয়জন বলে কথা। প্রিয় মানুষের মন জোগাতে কত কিছুই না করে থাকেন প্রেমিক পুরুষরা। আর বিত্তশালী প্রেমিক হলেতো কথাই নেই। নিজের মনের মানুষকে স্বর্গীয় সুখের ভেলায় ভাসাতে  বিলাসিতা আর শখের বসে বিচিত্র কাণ্ড করে বসেন।

এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন রাশিয়ার এক ধনকুবের উদ্যোক্তা কাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে তাকে  হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে টাকার কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন ওই ধনকুবের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।

এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমসসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি বেশ পুরোনো।সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক এই রুশ ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তার এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। নেটিজেনরা রুশ ইনফ্লুয়েন্সারদের এমন ভিডিওর ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তারা এটিকে ‘জঘন্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বসবাসরত রুশ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’’ নামেও পরিচিত। নিজের প্রেমিকাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে টাকার বান্ডিল দিয়ে সাজানো কার্পেটের ওপর দিয়ে হাঁটিয়েছেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ ওই ইনফ্লুয়েন্সারের প্রেমিকা হেলিকপ্টার থেকে নামেন।  এরপর তার হাত ধরে তিনি নগদ টাকার স্তূপের তৈরি কার্পেটের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। ভিডিওর ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরোনো এ ভিডিওটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা টাকার কার্পেট ব্যবহারে বিরক্তি জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সম্পদের কুৎসিত প্রদর্শন করেছেন ওই জুটি।’

নেটিজেনদের অনেকে বলছেন, ‘ভিডিওতে ব্যবহার করা নোটগুলো জাল ছিল। তবে আসলে এগুলো জাল কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি।’

নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘টাকার মূল্য বুঝতে চেষ্টা করুন। তুমি ধনকুবের হতে পারো কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তুমি এভঅবে অর্থ খরচ বা অপচয় করবে। এর পরিবের্তে তুমি শতশত পরিবারের ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারো। অথবা হাজারো ক্ষধার্তর মুখে খাবার তুলে দিতে পারো।’

শেয়ার করা ভিডিওতে ওই রুশ তরুণ ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তার চার কোটিরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী

Published

on

সংগৃহীত ছবি

গহীন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে  বাজারে যাওয়ার সময়  ফরিদা নামে এক নারীকে জীবন্ত গিলে খেয়েছে  একটি অজগর সাপ। পরে ওই অজগর সাপটিকে ধরে তার পেট  কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার(৬ জুন) বাজারের উদ্দেশে বের হন ফরিদা নামে এক নারী ।  তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানান ফরিদার স্বামী ননি। এরপরই চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে পরিবারের অন্যসদস্যসহ প্রতিবেশিরা বেরিয়ে পড়েন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার ফরিদার স্বামী ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ দেখতে পান। এটির পেট অতিরিক্ত ফোলা থাকায় ননির মনে সন্দেহ হয় সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে প্রেতিবেশিরা সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ বের করে আনেন।

ননি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ ওকে আমি একা বাইরে যেতে দিয়েছি-এটাই আমার আজীবনের দুঃখ। আমি ওর সাথে থাকলে সাপটা  হামলা করার সাহস পেত না।

গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি ডেইলি মেইলকে বলেন, ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে বাড়ি না ফেরায় গ্রামের সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। ফরিদার স্বামী জঙ্গলে খোঁজ করার সময় একটি অজগর সাপ দেখতে পান। ওই সাপটির পেট অস্বাভাবিক ফোলা থাকায় তার মনে সন্দেহ হয়-সাপটি তার স্ত্রীকে হয়তো জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। তার সন্দেহের কথা জানালে সবাই মিলে ওই সাপটিকে ধরা হয় এবং চাপাতি দিয়ে সাপটির পেট কেটে ফরিদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ফরিদার  মরদেহ বাড়ি নিয়ে কবর দেওয়া হয়।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it