জাতীয়
ড্যাপ বাস্তবায়নে দরকার বিশেষ পরিকল্পনা
ঢাকা নগরীকে আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরীতে রুপান্তরিত করতে একটি বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম।
আজ রোববার (২২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দের সাথে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ নিয়ে আলোচনা সভায় একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, নগর স্থপতি এবং নগর পরিকল্পনাবিদের মতামত নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগে গৃহীত এই বিশেষ পরিকল্পনা ও ন্যাশনাল ডাটা ব্যাংক ড্যাপের গাইড লাইন হিসেবে কাজ করবে। খন্ড খন্ড ভাবে আলোচনা করে 'ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট' করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন "আজ বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। এরপর নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, নগর স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত প্রয়োজন। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এটি সম্পন্ন করা অনেক কঠিন। তাই সবাইকে নিয়েই আমরা ঢাকাকে স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়তে চাই"।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে যেসকল ভবন আছে এবং পরবর্তীতে যে ভবন নির্মাণ করা হবে সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে রাস্তা রাখতে হবে। সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করে হাজার হাজার মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই রাস্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে যেসকল খাল রয়েছে সেগুলোকে পরিকল্পিতভাবে হাতিরঝিলের সাথে সংযোগ তৈরি করে যদি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এবং দুই পাশে ওয়াকওয়ে চালু করা যায় তাহলে এই নগরী অপরূপ দৃশ্য ধারণ করবে। বিনোদনের জন্য আর বিদেশ যেতে হবে না। এ লক্ষ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানান তিনি।
এসময় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক কে আরও শক্তিশালী করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন ড্যাপ এর আহবায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, রাজউকের চেয়ারম্যান মোঃ সাঈদ নূর আলম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি ড. আবু সাঈদ, সহ সভাপতি এহসান খান, ফেলো ইকবাল হাবিব, কাজী গোলাম নাসির, ড. ফরিদা নিলুফার, রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মোঃ আজহারুল ইসলাম এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এস
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ