লাইফস্টাইল
দিন শুরুর আগেই জড়িয়ে ধরুন প্রিয়জনকে
সারা দিন ঘরে-বাইরে সামলাতে হয় নানা ঝড়ঝাপটা। দিনের শেষে বিছানায় পিঠ ঠেকালে দু’চোখে হয়তো ঘুম নেমে আসবে। কিন্তু মনের আরাম হবে কি?
মনোবিদেরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধান রয়েছে নিজেদের হাতেই। দিনটি শুরু করার আগেই জড়িয়ে ধরুন প্রিয়জনকে। প্রিয়জনের কাঁধে বা বুকে মাথা রাখা শুধু লোকদেখানো বা ছবি তোলার জন্য নয়। এই স্পর্শের রয়েছে অন্তর্নিহিত গুণও।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম থেকে ওঠার পর কাছের মানুষ বা পোষ্যকে জড়িয়ে ধরার মধ্যে যে সুখ বা মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, তা অন্য কিছুর মাধ্যমে সম্ভব নয়। মানসিক চাপ, উদ্বেগ সামাল দিতে প্রিয়জনের স্পর্শ ওষুধের মতো কাজ করে। তবে, যে কোনও মানুষের স্পর্শ হলে হবে না। ২০২০ সালে এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের উপর একটি সমীক্ষা করেন লন্ডনের গোল্ডস্মিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ব বিভাগের একদল গবেষক। এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মাইকেল ব্যানিসি এবং ইউনিভার্সিটি অফ গ্রিনউইচের নাতালি বাওলিং। ব্যক্তিগত কিছু প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে প্রায় ৭৯ শতাংশই জানিয়েছেন, উল্টো দিকে থাকা তাদের প্রিয়জনের থেকে যৌনতা নয়, স্নেহের ছোঁয়া বা আদর পছন্দ করেন। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘কাডলিং’। এই কাডলিংয়ের অর্থ কিন্তু শুধু জড়িয়ে ধরা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু।
এ আদর বা স্নেহের স্পর্শ কি শুধু সঙ্গীর থেকেই পাওয়া সম্ভব?
মনোবিদেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে নিজের পরিধি একটু বড় করে রাখাই ভাল। শুধু স্বামী-স্ত্রী বা সঙ্গীর থেকেই যে স্নেহের ছোঁয়া পাওয়া যায় এমন নয়। কাছের মানুষ যেমন— মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী প্রিয় বন্ধু এমনকি বাড়ির পোষ্যকেও এই তালিকা থেকে বাদ দেয়া যাবে না। বিদেশে কিন্তু বৈধ লাইসেন্সধারী পেশাদার ‘কাডলিং থেরাপিস্ট’ও রয়েছেন। প্রয়োজনে তাদেরও সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
মানসিক চাপ কমবে
কিছুই ভাল লাগছে না, অকারণেই মনখারাপ গ্রাস করছে? বাড়িতে যদি প্রিয় কেউ থাকেন, চট করে তাকে জড়িয়ে ধরুন। তা সে মানুষ হোক বা পোষ্য। শরীরে ‘হ্যাপি’ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এই থেরাপি।
হার্ট ভাল থাকে
সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ প্রিয়জনকে জড়িয়ে থাকলে, আদর করলে অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এবং শরীরের ক্ষতি করে এমন হরমোন, যেমন— কর্টিজল, তার ক্ষরণও নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘুম ভাল হয়
রাতে ঘুমোনোর সময়ে পাশে কেউ থাকলে নিশ্চিন্ত বোধ করেন? ঘুম ভাল হয়? এক্ষেত্রেও প্রিয় মানুষের স্পর্শ দারুণ কাজ করে। কিন্তু, পাশে কেউ না থাকলে কী করবেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে রাতে ঘুমোনোর সময়ে আবহাওয়া বুঝে মোটা কম্বল গায়ে দিয়ে নিতে পারেন। কম্বলের উষ্ণতা, উত্তাপ একই রকম ভাবে কাজ করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত কাছের মানুষ বা প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরেন, আদর করেন, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
ব্যথা-যন্ত্রণা কমে
সারা দিন প্রচুর খাটাখাটনি করেছেন। কায়িক পরিশ্রম লাঘব করতে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। প্রিয় মানুষের কাছাকাছি থাকলে কিংবা পোষ্যের ছোঁয়া পেলে সেই যন্ত্রণা লাঘব করা সম্ভব।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ