Connect with us

আন্তর্জাতিক

৮৫টি দেশে ভারতীয় অস্ত্র বিক্রি, কারা কিনছে এসব?

Avatar of author

Published

on

ছবি: আনন্দবাজার

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ভারত প্রায় ২১ হাজার কোটি রুপির অস্ত্র বিক্রি করেছে ভারত। এক সময় বিশ্বের উন্নত দেশগুলির অস্ত্রের জন্য মুখাপেক্ষী থাকা দেশটি বর্তমানে বিশ্বের ৮৫টি দেশকে অস্ত্র বিক্রি করছে।  আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৩৫ হাজার কোটি রুপির অস্ত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দেশটির।  মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে প্রথম ২১ হাজার কোটি রুপির অঙ্ক ছুঁয়েছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে।

ভারতীয়  প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট ও আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে ভারত।   ‘ফার্স্ট পোস্ট’-এর একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির অঙ্ক এ বারেই প্রথম ২১ হাজার কোটি টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে।

মাত্র ১০ বছর আগেও অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ এক হাজার কোটি রুপিও ছাড়ায়নি। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বোলছে, ২০১৩-১৪ সালে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণটা ছিল মাত্র ৬৮৬ কোটি রুপি। ২০২৩-২৪ সালে সেটাই পৌঁছল ২১ হাজার ৮৩ কোটি রুপিতে।

বেশ কয়েক বছর ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে হচ্ছে ভারতীয় অস্ত্র রফতানি  ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৬ হাজার কোটি রুপির প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করেছিল ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ৩২ দশমিক ৫ ভাগ বেড়ে গেছে।  এটাকে ‘আকর্ষণীয় উত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং।

বিজেপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন,  ভারতের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রির উপরে ভারত বিশেষ নজর দিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

Advertisement

কারা কিনছে ভারতের অস্ত্র?

বিশ্বের  ৮৫টি দেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর জোগান দিচ্ছে ভারত।  উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইজ়রায়েলও। এছাড়াও  মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, ফিলিপাইনস, পোল্যান্ড, চিলির মতো দেশ ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে। তালিকায় আরও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রাজ়িল, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম,ফিলিপাইনস, মিশর, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইনস, নাইজেরিয়া ও আর্মেনিয়া।  রয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক পরাশক্তিধর দেশের নাম।

যুদ্ধাস্ত্রের আন্তর্জাতিক বাজারে যেসব ভারতীয় অস্ত্র চায়

ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে যুদ্ধাস্ত্রের আন্তর্জাতিক বাজারে।  তাছাড়া, ডর্নিয়ের-২২৮ যুদ্ধবিমান, রকেট লঞ্চার, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, রাতেও দেখা যায় এমন বাইনোকুলার, শত্রুর গতিবিধি লক্ষ করা যায় এমন র্যাডার-সহ একাধিক সামগ্রী বিভিন্ন দেশকে বিক্রি করে ভারত।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রাজ়িল, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ডের মতো মোট ৩৪টি দেশকে বুলেট প্রতিরোধী জ্যাকেট সরবরাহ করে ভারত।  ভারতের থেকে বন্দুকের গুলি কেনে ১০টি দেশ।

Advertisement

আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সের মতো দেশ আবার ভারত থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন সামগ্রী কেনে। মরিশাস, মলদ্বীপ আবার দ্রুত গতির জলযান কেনে ভারতের কাছ থেকে। জলপথে শত্রুপক্ষকে ধাওয়া করে ধরার জন্য এই দ্রুত গতির জলযানগুলি কার্যকর।

ভারত এবং রাশিয়া যৌথ ভাবে তৈরি করেছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রতি ভিয়েতনাম এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়াও।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) গত ডিসেম্বরে জানায়, তেজস যুদ্ধবিমান রফতানি করার বিষয়ে তারা আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইনস, নাইজেরিয়া-সহ মোট ছ’টি দেশের সঙ্গে কথা বলছে। হ্যালের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অস্ত্র রফতানির অঙ্ক ২৫০০ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০০০ কোটির নতুন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, আর্মেনিয়ার হাতে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি তুলে দিতে সম্মত হয়েছে নয়াদিল্লি। এই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনস, মিশরও।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন,  তাঁরা চান ২০২৮-২৯ অর্থবর্ষের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের রফতানি বাণিজ্যকে ৩ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে।

Advertisement

অস্ত্র কেনায় এখনও এক নম্বরে ভারত

এত কিছুর পরেও অস্ত্র বিক্রির নিরিখে বিশ্বের প্রথম পাঁচ দেশের তালিকায় এখনও ঢুকতে পারেনি ভারত। অস্ত্র বিক্রির নিরিখে এখনও প্রথম স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা গোটা বিশ্বে ৪২ শতাংশ অস্ত্রের জোগানদার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স(১১ শতাংশ)। আর ১১ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশ অস্ত্রের যোগান দিয়ে রাশিয়া ও চীন  রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।

অস্ত্র বিক্রির দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও কেনার দিক দিয়ে এখনও বিশ্বের এক নম্বর দেশ ভারত। ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারত গোটা বিশ্বের ৯.৮ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করেছে।

তবে নরেন্দ্র মোদি সরকার অবশ্য এই পরনির্ভরতা ক্রমশ কমাতে চাইছে।  দেশীয় প্রযুক্তিতে বা অন্য দেশের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকেও উৎসাহিত করছে।

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত : মার্কিন মুখপাত্র

Published

on

অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের  নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শপথ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে অভিননন্দ জানিয়েছে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ হয়েছে বলেও জানান ম্যাথিউ মিলার। তবে কোন বিষয়ে যোগাযোগ হয়েছে তিনি সে বিষয়ে বিস্তারিত বলেন নি।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

Published

on

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।

এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।

সূত্র: রয়টার্স

জিএমএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট

বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়নের ব্যাপারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেনো গণতন্ত্র, আইন ও বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করে-এমনটাই চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (৭ আগস্ট) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে এমনটাই আশা করে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এদিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইরাকের এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে তার বা অন্যদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছি কী? বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পরিস্থিতিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?’

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমরা এখনও যোগাযোগ করেনি। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখছি এবং আমরা এরইমধ্যে দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনি নিশ্চয়ই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শুনেছেন যে.  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে তা যেনো  গণতান্ত্রিক নীতিমালাকে, আইনের শাসন এবং সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়।

এসময় যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক  মুশফিকুল ফজল আনসারী একটি প্রশ্ন করেন।  তার প্রশ্নটি ছিল, আপনি কি জানেন যে স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  পুত্র ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করে নতুন সরকারকে হুমকি দিচ্ছেন, সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন?  তিনি সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন যিনি বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন।  দয়াকরে তার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানাবেন কী?’

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘একজন সাধারণ নাগরিকের বিবৃতি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এরইমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথা বলেছি এবং আমরা দেখতে চাই এই সরকার কী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যায়।

Advertisement

এসময় মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও জানতে চান, ‘দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা নিয়ে আপনার কী মন্তব্য?

জবাবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের মুখপাত্র বলেন, শনের প্রশ্নের উত্তরে আমি যেমনটি বলেছি – অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা দেখতে চাই ওই সিদ্ধান্তে যেনো  গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলা হয় এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের গাজা, দক্ষিণ আমেরিকার ভেনিজুয়েলা, ইরাক ও ইরানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it