প্রবাস
নিউইয়র্কে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঞ্চলে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) অনুসারে, শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুলও মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি এক্সে লিখেছেন, “পূর্ব ম্যানহাটনে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে এবং এটি পুরো নিউইয়র্কে অনুভূত হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটি নিরূপণ করছে আমার দল। আমরা এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে আরও অবহিত করব।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে জানিয়েছেন, ফিলাডেলফিয়া থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত ও লং আইল্যান্ড বরাবর পূর্ব দিকেও ভূমিকম্প অনুভব করেছেন তারা।
এদিন ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নিউইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে পুরো শহরজুড়ে ভূমিকম্পের সাইরেন বেজে ওঠে।
প্রবাস
সৌদি আরবের আইন মেনে চলুন: জেদ্দার কনসাল জেনারেল
বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোসহ সৌদি আরবের আইন মেনে চলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানিয়ছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকায় ফেরার আগে আয়োজিত এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
গত বৃস্পতিবার কনস্যুলেট জেনারেলের হল রুমে আয়োজিত ওই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন-বাংলাদেশ রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, সৌদি আরব।
এম ওয়াই আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল বলেন, ‘দীর্ঘ ৩ বছরের অধিক সময় জেদ্দায় কাজ করার সময় সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ’ এসময় তিনি বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ এবং সৌদি আরবের আইন মেনে চলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিছ সরকার উজ্জলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী সাংবাদিক রফিক চৌধুরী, শেখ রনি ও এবিএস রাব্বি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক সাজিদুল ইসলাম, মাসুদ সেলিম, মোহাম্মদ ফিরোজ, কাওসার আব্দুস সালাম ও এআর নোমান।
এমআর//
প্রবাস
নিউইয়র্কে হয়ে গেল জমজমাট ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান
জমজমাট আর বর্ণাঢ্য আয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হয়ে গেলো ‘ঢালিউড ফিল্ম এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। স্থানীয় সময় রোববার জ্যামাইকার অ্যামাজোরা কনসার্ট হলে এ উপলক্ষ্যে যেন বসেছিলা এক ঝাঁক তারার মেলা।
ঢাকাই চলচ্চিত্র ও ছোট পর্দার বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে আরো আকর্ষণীয়। স্টেজে তাদের চোখ-ধাঁধানো পারফরমেন্স দর্শকদের মনে করিয়ে দেয় এটি যেনো এক টুকরো বাংলাদেশ। আর যেনো প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনে করিয়ে দেয় যেখানেই থাক- বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যাবে না ভোলা।
দর্শকদের জন্য রোববার সন্ধ্যা সাতটায় হল খুলে দেওয়া হলে হাজারো বাংলাদেশি হলে প্রবেশ করেন। দর্শকপূর্ণ হয়ে যায় পুরো হল। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকেও এসেছিলেন অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী দিনাত জাহান মুন ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাবু জামানের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয়। ঢালিউড ও ছোট পর্দার অভিনেতাদের নৃত্য, সংগীত পরিবেশন, কখনও অনুভূতি প্রকাশ-দশর্কদের মন ছুয়ে যায়। আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের নৃত্য পরিবেশনায়।
অনুষ্ঠানে ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ঢালিউডের শক্তিমান খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ, জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, নিরব, তাহসান খান, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, তানজিন তিশা, তাসনিয়া ফারিন, মন্দিরা,গীতিকার কবির বকুল,কণ্ঠ শিল্পী রানু নেওয়াজ, অনিক রাজ, লায়লাসহ অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ ফাতেমা নাজনীন প্রিসিলাও পেয়েছেন ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড।
গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। আলমগীর খান আলম শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে-র ব্যানারে বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, সংগীতের সেরা তারকাদের এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবার ছিলো অ্যাওয়ার্ডটির ২২তম আসর।
শো টাইম মিউজিক এর কর্ণধার আলমগীর খান ছাড়াও অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক শাহ নেওয়াজ,নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফরহাদ সোলেমানসহ নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যাক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এমআর//
প্রবাস
দুবাইয়ে পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আল-কুসাইস ক্যাটল মার্কেটে পশুর বাজার জমে উঠেছে। আর একদিন পর কোরবানির ঈদে নিজেদের সাধ্যমতো কিনছেন কোরবানির পশু। স্থানীয় আরবদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিচ্ছেন কোরবানির প্রস্তুতি।
দুবাইয়ে অধিকাংশ পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। আমদানিকৃত দেশ হচ্ছে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন খামারে পশু পালন করা হয়। তবে ঈদকে ঘিরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় পশু আমদানি।
বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু, ছাগল, উট এবং দুম্বাসহ বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন দেশের পশু। দর কষাকষিতে পছন্দসই পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। গরুর মূল্য কিছুটা কম হলেও দুম্বার মূল্য তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর মূল্য ৩৫০০ দিরহাম থেকে শুরু, আর একটি দুম্বার মূল্য ৫০০ দিরহাম থেকে শুরু।
দুবাইয়ের বাংলাদেশি প্রবাসীরা জানান, ঈদের দিনে দেশকে মিস করলেও প্রবাসী সহকর্মীদের সাথে আনন্দ উপভোগে দেশে পরিবারের সাথে না থাকার অভাব কিছুটা ভোলা যায়।
এএম/