Connect with us

পর্যটন

পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত কুয়াকাটা

Avatar of author

Published

on

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। রমজান মাসে প্রায় পর্যটক শূন্য ছিলো সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এবার ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত কুয়াকাটা। সাগরকন্যাখ্যাত এই সৈকতের নৈসর্গিক সৌন্দর্য আরও বেশি উপভোগ্য করে তুলতে ধোয়ামোছা করা হচ্ছে হোটেল-মোটেলগুলো। রং করা হচ্ছে রাস্তাঘাট ও ভবনগুলো। আপন রূপে ফিরেছে প্রকৃতি। রমজানে লোকসমাগম না থাকায় বিচরণ বেড়েছে লাল কাঁকড়া ও সবুজ ঘাসে ছেয়ে গেছে বালুচর ও পাড়গুলো।

শনিবার (৬ এপ্রিল) পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল মোটেল ও রিসোর্টের প্রস্তুতির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন  ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম।

জহিরুল ইসলাম জানান, রমজানের ফাঁকা সময়ে হোটেল-মোটেলগুলো আরও পরিপাটি করা হয়েছে। সৈকত দীর্ঘদিন ফাঁকা, পুরো এলাকা ঝকঝক করছে। বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য নজর কাড়বে সব বয়সী মানুষের। এসব কারণে ঈদের ছুটিতে লাখো ভ্রমণপিপাসুর আগমন ঘটবে– এমনটাই সবার আশা।

কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত থাকবে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Advertisement

ব্যবসায়ীরা জানান, ৪ এপ্রিল স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে আলোচনা সভা করেন কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম। সভায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ভ্রমণ উপভোগ্য করে তুলতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

পর্যটন

ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু ১৫ জুলাই

Published

on

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে। আসছে ১৫ জুলাই থেকে ঢাকা-বেইজিং রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এয়ারলাইন্স হিসেবে পরিচিত চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স।

সংস্থাটি জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেইজিংয়ের তাশিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রুটে সরাসরি ফ্লাইট চলবে।খবর বাসস’র।

প্রাথমিকভাবে প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শনিবার ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। অত্যাধুনিক এয়ারবাস নিয়ে পরিচালিত নতুন রুটটি বেইজিং এবং ঢাকার মধ্যে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ বিকল্প ও সুবিধা প্রদান করবে। এয়ারক্রাফ্টটিতে ১২টি বিজনেস ক্লাস, ১৮৭টি ইকোনমি ক্লাসসহ মোট ১৯৯টি আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।

সোমবার(১ জুলাাই) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-বেইজিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দেয় চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, বিশ্ব ব্যাংক থেকে শুরু করে সকলেই যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রীর ‘নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ’ করার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছিল চীন। চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ আসবে।

Advertisement

তিনি বলেন, “চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে। চীনে প্রচুর পর্যটক রয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে কক্সবাজার এবং কুনমিং বিমানবন্দরের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।’

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘এই রুটটি বৃহত্তর সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সংযোগ এবং উভয় পক্ষের জন্য সমান লাভ বয়ে আনবে এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ আরও প্রসারিত করবে। ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চীন ও বাংলাদেশের জনগণকে ভ্রমণ ও সুযোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরীসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, এসসিবি ও নেতৃস্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিসহ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পর্যটন

যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং

Published

on

সম্প্রতি কক্সবাজারে প্যারাসেইলিং করতে গিয়ে দড়ি ছিড়ে আকাশ থেকে সমুদ্রে পড়ে গিয়ে শারিরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন এক পর্যটক। ভুক্তভোগীর মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হলে গেলো ১০ জুন থেকে সৈকতে প্যারাসেইলিং সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

গেলো শুক্রবার (২৪ মে) কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের  দরিয়ানগর বীচ এলাকায় ফ্লাই এয়ার সী স্পোর্টস প্যারাসেইলিংয়ের দড়ি ছিড়ে আফসান জ্যাবিন অদিতি নামে এক পর্যটক আহত হন বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স  কক্সবাজার জেলার উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমাকে।

এ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী ঘটনার পরে কক্সবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৯ মে মামলা দায়ের করেন । ওই মামলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজার জেলার উপসহকারী পরিচালককে  তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে গেলো ২৬ জুন তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বাদি ও বিবাদীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন তিনি।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

‘শেনজেন’ স্টাইলে ভিসা দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ

Published

on

সংগৃহীত ছবি

এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মতো ‘শেনজেন স্টাইলে’ পর্যটকদের ভিসা দিতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা বিষয়ক কাউন্সিল জিসিসি। তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে পর্যটন, শিল্প ও বাণিজ্য খাতকে শক্তিশালী করতে পশ্চিমা দেশগুলোর মতো সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো হলো-সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বুধবার (০৮ মে) ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেনজেন স্টাইলের এই ভিসা নিয়ে একজন জিসিসি সদস্যভূক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশের পর্যটক এক মাসে জিসিসিভুক্ত ছয়টি দেশ সফর করতে পারবেন।

গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরাবিয়ান ট্রাভেল মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তব্যে এমন তথ্য জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী আবদুল্লা বিন তুক আল মারি। নতুন প্রস্তাবিত এ ভিসার নাম হবে- ‘জিসিসি গ্রান্ড ট্যুরস’।

ওই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আরও জানান, মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণকে যৌক্তিকভাবে সহজ করতে এবং পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘শেনজেন স্টাইলের ‘ মতো ভিসা চালুর ব্যাপারে জিসিসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবুজ সংকেত দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল্লা বিন তুক আল মারি বলেন, ‘এই ভিসা নিয়ে একজন পর্যটক ৬টি দেশই সফর করতে পারবেন।’একজন পর্যটক জিসিসির এ ভিসা নিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন।’ মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা খুব শিগগিরই এ ভিসা চালুর আশা করছেন বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it