রাজশাহী
বগুড়ায় থানায় ঢুকে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা, আটক ৯
বগুড়ার শাজাহানপুরে থানায় ঢুকে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান, আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাদ্দাম রবীন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, মিরাজুল রহমান, আমিনুল ইসলাম ও মিঠুন মিঞা।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, থানায় চড়াও হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় নুরুজ্জামানসহ ৯ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। নুরুজ্জামানের দেয়া তথ্য মোতাবেক রাতেই তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সাতটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। এ ছাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান নাজমুলের বাগানবাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নাজমুল পলাতক।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর হামলা, থানায় লোকজন নিয়ে বেআইনি প্রবেশ করে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ, মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টাসহ বিভিন্ন আইনে একাধিক মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হাসানকে দুটি বার্মিজ চাকুসহ মদ্যপ অবস্থায় আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আড়িয়া ইউনিয়ন বিট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান। ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ফোন দেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান। তবে মিঠুনকে ছেড়ে না দিয়ে থানায় নেয়ায় ক্ষুব্ধ হন নুরুজ্জামান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৩৫ থেকে ৪০ জনকে নিয়ে নুরুজ্জামান থানায় আসেন। তারা মিঠুন হাসানকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় নুরুজ্জামান ও তার সহযোগীদের হামলায় এসআই আনিসুরসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে থানায় আসেন ওসি শহীদুল ইসলাম। নুরুজ্জামান ওসির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং গালাগালি ও হুমকি দেন। থানা থেকে বেরিয়ে যেতে বললে নুরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা হামলা করেন। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে তারা থানা থেকে চলে যান।
পুলিশের ভাষ্যমতে, থানা থেকে বের হওয়ার পর নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন থানার অদূরে মাঝিড়া বন্দরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা ও লোহার পাইপ। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তখন তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে নুরুজ্জামানসহ আটজনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। থানায় আক্রমণ ও পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে রাতভর যৌথ অভিযান চালানো হয়। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান নাজমুলের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ছাড়াও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, থানায় হামলার ঘটনায় দু’জন এসআইসহ আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আটক মিঠুন হাসানের নামে হত্যা, মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ