আওয়ামী লীগ
বিএনপি বাঙালির সংস্কৃতি চেতনার শত্রু : কাদের
বিএনপিকে বাঙালির সংস্কৃতি চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই সাম্প্রদায়িক শত্রুকে প্রতিহত ও মোকাবিলা করতে হবে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই দিন বাঙালি জাতি পরম ভালোবাসায় তাদের হৃদয়ে ধারণ করে, চেতনায় ধারণ করে। আজকের এই দিনে বেশি কথা বলার নেই। এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য, কারা বৈশাখের চেতনা বিরোধী, কারা বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী কায়দায় ’১৪ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার শোভাযাত্রাকে বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। সেই অপশক্তি আজও বাংলার মাটিতে আছে।
তিনি বলেন, আজকে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক। এখানে আমাদের ইতিহাসের অনেক স্মৃতি। বাহাদূর শাহ পার্কটি, ঐতিহাসিক স্থানটি সংরক্ষণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলব এখানে বাঙালির ইতিহাসের অনেক স্মৃতি, অনেক লড়াই সংগ্রামের স্মৃতি। এই স্মৃতি ধরে রাখতে হবে এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে এই ঐতিহাসিক স্থানটিতে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজকে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাঙালি সংষ্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে আমাদের চেতনায় ধারণ করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হাজার বছরের সবার সেরা বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য এই বাংলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি সংস্কৃতির বহমান ধারাকে আমরা বহতা নদীর মতো এগিয়ে নিয়ে যাব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের, চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ, শত্রু। আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বাঙালির ঐহিত্যবাহী চেতনায় এই শত্রুপক্ষকে আমরা প্রতিহত করি, পরাজিত করি এবং বিজয়ের লক্ষ্য অভিমুখে এগিয়ে যাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে শিশু আজও সমুদ্রের মুখ দেখেনি, বাংলাদেশের যে শিশু অকালে ঝরে যায়, বনফুলের মত ফুটে বনফুলের মত অদৃশ্য হয়ে যায়, বাংলাদেশের যে শিশু কমলা রঙের অপরাহ্নের রোদ দু-হাতে গালে মাখেনি পরমানন্দে, সেই শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা নির্মাণ করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিশুদের জন্য। গাজায় ইহুদিরা রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দিচ্ছে, ১৪ হাজার শিশুকে এ পর্যন্ত হত্যা করেছে। আসুন আমরা সেই শিশুদের জন্য বাংলাদেশকে নিরাপদ আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তুলি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ অভিমুখে যায়। এতে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/