রাজশাহী
২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্ত্রীসহ আনসার সদস্য নিহত
নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্ত্রীসহ নিহত হয়েছেন আনসার ব্যাটেলিয়ান বাহিনীর সদস্য। এ ঘটনায় ওই দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী ছেলেসহ দু’জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নারকেলি উত্তরপাড়া গ্রামের এনামুল হক (৪৩) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (৩২)।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কের শাহপুর ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এনামুল হক আনসার ব্যাটেলিয়ান বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এনামুল ও বৃষ্টি দম্পতির ছেলে জুনাইদ ইসলাম (৫) গুরুত্বর আহত অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আনসার ব্যাটালিয়ন বাহিনীর জেলা কমান্ডার রাফিউদ্দিন জাকারিয়া জানিয়েছেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে তারা উপস্থিত হয়ে এনামুল হক ও তার স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পান তারা। নিহত দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী সন্তান আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সকল কার্যক্রম শেষে আনসার বাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী তাদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা করবে নওগাঁ আনসার বাহিনী।
নওগাঁ সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এনামুল হক স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার নারকেলি উত্তরপাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কের শাহপুর ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এনামুল হক ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় এনামুল ও বৃষ্টি দম্পতির ছেলে জুনাইদ ও অপর মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ২৫০ বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহ দুটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহত দম্পতির স্বজনরা আসার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ