Connect with us

লাইফস্টাইল

গরমে তেষ্টা মেটাতে যেসব ফল খাবেন

Avatar of author

Published

on

ফল

এপ্রিলের গরমে বাইরে বের হলেই শরীরে জ্বালা আর গলায় তেষ্টা থাকে। এমন সময় শরীর যত ঠান্ডা রাখতে পারবেন ততই ভালো। সেই বুঝেই খাবার খেতে হবে। আর খাবারের তালিকায় ফল অবশ্যই রাখুন। এমন ফল যা শরীরের অনেকটা পানির চাহিদা মিটিয়ে দিতে পারে। যেমন–

লেবু: লেবুতে ৮৭ শতাংশ পানি থাকে। শরীর হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি লেবু এনার্জি বৃদ্ধি করে। বিশেষত যারা ব্যায়াম করেন, তাদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এটি ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ, তাই ত্বকের জন্যেও উপকারী।

তরমুজ: তরমুজে ৯২ % পানি আছে, যা সহজেই গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মেটায়। শুধু তাই নয়, তরমুজে উপস্থিত আরও পুষ্টিগুণ হার্টের নানা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

আপেল: আপেলে ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে রোগব্যাধি দূরে থাকে। আপেল বিপাকক্রিয়ার উন্নতি করে, হার্টকে সুস্থ রাখে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন এবং খনিজ, দাঁত ও হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।

ডাবের পানি: অতিরিক্ত গরমের প্রয়োজনীয় পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা হয়। ডাবের পানি শরীরে এই পানির ঘাটতি পূরণ করে। এতে আছে কার্বোহাইড্রেট যা এনার্জি বাড়ায়। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

আম: সাধারণত আমে ৮৩ শতাংশ পানি থাকে। বেশিরভাগ মানুষই এই ফল খেতে পছন্দ করেন। এই ফলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্যেও অত্যন্ত ভালো।

আনারস: আনারস একটি সুস্বাদু ও সরস ফল। এতে ৮৬ শতাংশ পানি রয়েছে। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আনারসে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ থাকে যা হাড়ের জন্য উপকারী। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।

পেঁপে: পেঁপেতে পানি ছাড়াও ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সমৃদ্ধ পেঁপে খুব উপকারী।

ব্লুবেরি: ব্লুবেরিতে ৮৪ শতাংশ পানি আছে। ব্লুবেরি রক্তকে বিশুদ্ধ করে। এটিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। বহু মানুষ কাশি এবং সর্দি নিরাময়ের জন্যও ব্লুবেরি খান।

শশা: এতে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি থাকে, এছাড়া রয়েছে প্রচুর ডাইজেস্টিভ এনজাইম যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে পানি ধরে রাখতেও এর জুড়ি নেই। রয়েছে প্রচুর ফাইবার। তাই কনস্টিপেশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

Advertisement

তালশাঁস: তালের শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। তালশাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। কচি তালের শাঁস বমিভাব, লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তাল্পতা প্রতিরোধেও উপকারী এই সুস্বাদু ফল।

আখের রস: আখ বা আখের রস হল প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার। পেটের সমস্যা বা ডিহাইড্রেশনের জন্য এটি খুব উপকারী। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাড়ন্ত শিশুরা যদি আখের রস চিবিয়ে পান করে তাহলে তার দাঁতের সমস্যা অনেকটাই লাঘব হয়। আখের রসে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও এন্টিঅক্সিড্যান্ট যা ব্রেস্ট ক্যানসার এবং প্রস্টেট ক্যানসার নিরাময়ে কাজ করে।

আঙুর: আঙুরে প্রায় ৮১% জলীয় অংশ রয়েছে। এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্র থেকে অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং কিডনির উপর চাপ কমায়। আঙুর মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস যেমন, কপার, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজে ভরপুর একটি ফল যা হাড়ের গঠন এবং মজবুত হওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিডনির যে কোনও সমস্যা থেকে আমাদের মুক্ত রাখে।

লিচু: মৌসুমি ফল হিসাবে লিচু অসম্ভব উপকারি একটি ফল। প্রতিটি লিচুতে প্রায় ৮৪% জল থাকে যা ডি হাইড্রেশন উপশমে বিশেষ কার্যকরী। লিচু ক্যানসারের নোভিস কোষগুলিকে ধংস করে। ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস করে। প্রচুর ফাইবার ও পানি যা হজমে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

জামরুল: এতে প্রায় ৮৩% পানি রয়েছে। এছাড়াও ফ্ল্যাভনওয়েড ও ফাইটকেমিক্যাল সমৃদ্ধ জামরুল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এই ফলের গ্লাইসেমিক লোড খুব কম হওয়ায় ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই রসালো ফল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসাবে কাজ করে।

Advertisement

অতিরিক্ত পানি পানও কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই প্রয়োজনের বেশি পানি পান একেবারেই নয়। তার চেয়ে বরং গরমকালে পানির পাশাপাশি এই ফলগুলিও খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

Advertisement

পরামর্শ

মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়

Published

on

খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।

মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।

১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।

২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।

৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।

Advertisement

৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।

৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

Published

on

এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।  বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।

সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই?  এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।

আসুন জেনে নেই তাহলে –

১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।

পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।

৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি

Published

on

প্রতিকী ছবি

আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।

উপকরণ

ঘন দুধ- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )

আম- ২টি

Advertisement

ডিম- ২টি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী

১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।

২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।

৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।

৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।

৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

Advertisement

ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it