দেশজুড়ে
হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু
হাওর অধ্যুশিত ধান মাছের প্রসিদ্ধ অঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার ছোট বড় হাওরে বৈশাখের অন্যতম ফসল বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বোরোধান কাটার এই সময়ে হাওর এলাকার কৃষাণ কৃষাণীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃহত্তর নলুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান ।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা জানায়, শ্রমিক দ্বারা ধান কাটাতে হলে প্রতি বিঘা জমির জন্য খরচ হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। অকাল বন্যা, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ আতঙ্কে থাকেন সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষক। অধিকাংশ হাওরে কৃষকদের জন্য নিরাপদ ছাউনি ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় ঝড়তুফান, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি হলে কৃষক শ্রমিকদের নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা নেই।
তবে চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকদের নির্বিঘ্নে পাকা ধান কাটতে দেখা গেছে। বোরো ধান কাটার এই সময়ে সুনামগঞ্জ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা আসতে শুরু করেছে। সনাতন পদ্ধতিতে বোরোধান কাটার পাশাপাশি, আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের সাহায্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাওরে ধান কাটা হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় স্থানীয় এবং বহিরাগত প্রায় ১০ হাজার শ্রমিকের পাশাপাশি ৭৫টি আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ধান কাটায় নিয়োজিত রয়েছে। ইতিমধ্যে এক তৃতীয় অংশ ধান কর্তন হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এপ্রিল মাসের মধ্যেই ধান কাটা শেষ হবে।
চলতি বছর জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০,৩৮৫ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষ করা হয়েছে। এবার উপজেলায় বোরোধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫৪১৩ মেট্রিক টন।
প্রসঙ্গত, বোরো ধান কাটা উৎসব উদ্বোধনে প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা সিদ্দিক আহমেদ, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
ঢাকা
মন্দির পাহারা দিচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার আরিয়াব এলাকার সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা ও বিএনপি’র নেতা কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে পৌরসভার আরিয়াব দুর্গা মন্দিরসহ উপজেলার বিভিন্ন মন্দিরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা মন্দির কমিটির লোকজনদেরকে যে কোনো হামলার প্রতিরোধে আশ্বাস দিচ্ছেন।
তারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ লাগাতে প্রস্তুত দুষ্কৃতকারী। তাই রূপগঞ্জের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা উদ্যোগ নিয়েছে। যতদিন দেশ শঙ্কামুক্ত না হচ্ছে মন্দির ভাঙচুর প্রতিরোধে আমরা এভাবে পাহারায় থাকব।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাকিব ভূঁইয়া বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, তারই অংশ আজকের এই পাহারা।
তারাবো পৌরসভার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হাসান আরব বলেন, দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে কেউ যেন সংখ্যালঘু পরিবারের উপরে হামলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীরা সবসময় পাহাড়া থাকবে।
এসয়ম উপস্থিত ছিলেন, তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সাউথ, সহ-সভাপতি আবুল সাউদ, আলমগীর মীর, যুবদলের সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড মোখলেস সাউথ,মকবুল হোসেন, শিক্ষার্থী হাসান ভূঁইয়া, নীরব মিল্কি, আরিয়ান প্রমূখ।
এএম/
সিলেট
সুনামগঞ্জে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করছে শিক্ষার্থীরা
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘ দিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিস্কারে নামেন সাদা টি শার্ট পরিহিত একটি টিম। গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল ওয়াহিদ, হেক্সাস গোবিন্দগঞ্জের শিক্ষক রেদ্বওয়ান আহমদসহ অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে ওই টিমে।
মহাসড়কের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কারসহ এক দফা দাবিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী যেভাবে সড়কে নেমে এসেছিল, তেমনি শিক্ষর্থীরা মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণে সড়কে নেমে এসেছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ঝাড়ু দিয়ে মহাসড়ক পরিষ্কার করে ময়লা-আবর্জনা বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট ডাম্পিং এরিয়ায় নিয়ে যান। আর তাদের পানি ও শুকনো খাবার দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশের মতো কাজ করছে। সত্যিই এ দৃশ্য অনেক সুন্দর। আমাদের সবাইকে তাদের সাপোর্ট করা উচিৎ। এছাড়াও তারা গতরাতে মন্দির পাহারা দিয়েছে।
এএম/